কর্মসূচিতে ঢুকছেন সভাপতি, পাশেই চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
১১ দিনের ব্যবধানে দু’বার তাঁর বাড়ির সামনে দলীয় পতাকা হাতে মিছিল, বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন। এ বার দলীয় কর্মসূচিতে সামনাসামনি বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ। শুক্রবার কাটোয়ার ইঁদারাপাড়ে বিজেপিতে যোগদানের অনুষ্ঠানে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যদিও কৃষ্ণবাবুর দাবি, পুরোটাই তৃণমূলের চক্রান্ত।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকিহাট ও মণ্ডলহাট এলাকার তৃণমূল থেকে আসা কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দেন ইঁদারাপাড়ার অনুষ্ঠানে। সেই মতো টেবিল সাজানো হয়েছিল। বেলা ১১টা নাগাদ কৃষ্ণবাবু আসার খবর ছড়াতেই ‘বিক্ষুব্ধেরা’ জমা হতে শুরু করেন। সওয়া ১২টা নাগাদ শ’খানেক অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন কৃষ্ণবাবু। ছিলেন জেলা বিজেপি সহ সভাপতি শ্যামা মজুমদার, মহিলা মোর্চার পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্য, কাটোয়া নগর সভাপতি অনুপ বসু ও ৪১ নম্বর জেডপি’র সভাপতি আশিস হাজরা। তাঁরা ঢুকতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। কালো পতাকা হাতে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। মিনিট দশেকের মধ্যেই মণ্ডলহাট-ঘোষপাড়ার গৃহসম্পর্ক যাত্রা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন জেলা সভাপতি।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চঞ্চল মণ্ডল, শ্যামল দেবনাথদের অভিযোগ, “বিজেপি করি বলে যে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের মেরেছে, তাঁদেরই টাকার বিনিময়ে দলে যোগ দেওয়াচ্ছেন জেলা সভাপতি। সঙ্গে সঙ্গে পদ দেওয়া হচ্ছে। দলের পাঠানো আমপান ও করোনার ত্রাণ নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে।’’
কৃষ্ণবাবুর দাবি, “এলাকার ১০০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। কর্মসূচির সময়ে আচমকা কয়েকজন কালো পতাকা হাতে চিৎকার করতে শুরু করেন। নিজেদের ঘর ভাঙছে দেখে তৃণমূলই এ ভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে।’’ যদিও কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা, “বিজেপি দূর্নীতিগ্রস্ত দল। ওদের কর্মীরাই কখনও বাড়িতে গিয়ে আবার কখনও রাস্তায় জেলা সভাপতিকে কালো পতাকা, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ওই এলাকায় আমাদের কেউ দল ত্যাগ করেননি। নিজেদের লোকজনকেই তৃণমূল সাজিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়াচ্ছে বিজেপি।’’