প্রতীকী ছবি।
যত্রতত্র গরু চরলেই ধরে ফেলবে পুরসভা। পরে লটারি করে সেগুলি বিলিয়ে দেওয়া হবে গো-পালকদের। সোমবার সন্ধ্যায় কালনা শহরে গোপালকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এমনই নিদান দিলেন পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ।
ক্রমাগত গরুর গুঁতো, বাড়িতে ঢুকে পড়া, গরুর ধাক্কায় বাইক দুর্ঘটনার মতো অভিযোগ পেয়ে কালনা শহরের গরুর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট হয় পুরসভা। নাগরিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়। শহরের বাসিন্দারা দাবি করেন, বাজারের পচা, আনাজ খেয়ে, রাস্তায় ছড়িয়ে নোংরা করে গরুরা। তাদের মল-মূত্রেও নোংরা হয় রাস্তা। খোঁজ নিয়ে পুরসভা জানতে পারে, বেশ কিছু ব্যবসায়ী রাস্তায় গরু ছেড়ে রাখেন। রাস্তাতেই বাছুর জন্মায়। তারপরে দুধের ‘লোভে’ গরুকে বাড়ি নিয়ে যান মালিকেরা। পুরপ্রধানের নির্দেশে শহরে আটটি ওয়ার্ডে কত জন গো-পালক রয়েছেন এবং তাদের কতগুলি গরু রয়েছে তার সমীক্ষা করা হয়। জানা যায়, শহরে গরু পালন করেন প্রায় ২৫০ জন। গরু রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশো।
এ দিনের বৈঠকে পুরপ্রধান জানান, গরু পালন ভাল। প্রয়োজনে গো-পালকদের দুধের ক্যান-সহ নানা জিনিসপত্র দিয়ে সহযোগিতা করবে পুরসভা। কিন্তু যাঁরা রাস্তায় গরু ছেড়ে রেখে ব্যবসা করছেন, তাদের এটা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে পুরসভার পাশের চরে গরু নিয়ে বেঁধে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘পুরসভা দিন সাতেক পরিস্থিতির উপরে নজর রাখবে। এর পরেও যদি গরু যত্রতত্র চরে বেড়ায়, সাধারণ মানুষের অসুবিধা তৈরি করে তাহলে পুরসভা গরু ধরে রেখে দেবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এ ক্ষেত্রে পুরসভা মনে করবে গরুর মালিকানা নেই। পরে ওই গরু লটারির মাধ্যমে বিলি করা হবে।’’
বৈঠকে গরুর মালিকদের তরফে শহরের পশু হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে গরুর চিকিৎসার ওষুধ মেলে না। পুরপ্রধানের আশ্বাস, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পশু চিকিৎসককে নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে।