Jitendra Tiwari

কলেজের শিলান্যাস

শেষ পর্যন্ত সোমবার প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের কাঁটাবেড়িয়ায় সাধক কবি নীলকণ্ঠের নামে কলেজের শিলান্যাস করেন বিধায়ক। পাশের গ্রাম ধবনীতে বাড়ি ছিল কবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাউদোহা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:২৭
Share:

কাঁটাবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে সরকারি ডিগ্রি কলেজের দীর্ঘদিনের দাবি এ বার পূরণের পথে। সোমবার কবি নীলকণ্ঠ মহাবিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে কলেজ গড়ার অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হবে ও যে জায়গায় কলেজের শিলান্যাস করা হল, সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীর একাংশ।

Advertisement

দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে কোনও কলেজ না থাকায় উচ্চ মাধ্যমিকের পরে, পড়ুয়াদের অনেককে পড়াশোনায় সমস্যায় পড়তে হত। আর্থিক কারণে ও যোগাযোগের সমস্যায় অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতেও বাধ্য হতেন। ব্লকের এক দিকে অণ্ডাল, অন্য দিকে পাণ্ডবেশ্বর ব্লক। অণ্ডালের খাঁদরা ও পাণ্ডবেশ্বরে কলেজ আছে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। ব্লক অফিস, ভূমি সংস্কার দফতর, কৃষি দফতরের কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক, থানা, ব্লক হাসপাতাল রয়েছে। ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েতের ৫১টি গ্রামে মোট ১২টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে, এই সব গ্রামের পড়ুয়াদের পাণ্ডবেশ্বর বা খাঁদরায় যেতে হয়। তা না হলে যেতে হয় দুর্গাপুরের কোনও কলেজে। এর ফলে, পড়াশোনার খরচ বাড়ে, যাতায়াতে সময় নষ্ট হয়। তা ছাড়া, নিয়মিত বাস না থাকায় যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে
হয় পড়ুয়াদের।

লাউদোহার প্রধান রাস্তার ধারে ব্লক হাসপাতালের কাছে অব্যবহৃত জায়গায় কলেজ গড়ে তোলার দাবি দীর্ঘদিনের। শিক্ষা দফতরে কলেজ গড়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি চুমকি মুখোপাধ্যায় ও তৎকালীন বিডিও শুভ সিংহরায় বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হন। শেষ পর্যন্ত সোমবার প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের কাঁটাবেড়িয়ায় সাধক কবি নীলকণ্ঠের নামে কলেজের শিলান্যাস করেন বিধায়ক। পাশের গ্রাম ধবনীতে বাড়ি ছিল কবির।

Advertisement

কলেজ গড়ার উদ্যোগ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয়েরা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা বলেন, ‘‘কলেজ গড়ার জন্য শিক্ষা দফতর থেকে কোনও অর্থ মঞ্জুর করা হয়নি। প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হবে তা স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে তেমন কোনও জায়গায়, যেমন লাউদোহায় কলেজ গড়ে উঠলে ব্লকের সব জায়গার পড়ুয়াদের যাতায়াতে সুবিধা হত।’’ যদিও বিধায়কের দাবি, ‘‘বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অনুদানে, সাংসদ ও বিধায়ক তহবিলের অর্থে, এলাকাবাসীর আর্থিক সাহায্যে বছর দু’য়েকের মধ্যে কলেজ গড়ে উঠবে।’’ তাঁর দাবি, প্রধান রাস্তা সংস্কার করে ঝকঝকে করা হয়েছে। কলেজ গড়ে উঠতে যে সময় লাগবে, তার মধ্যে সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাটও উন্নত হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement