প্রতারণার অভিযোগে ধৃত লগ্নি কর্তা অসীম মসোনকে রবিবার আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ডিএসপি-র মেডিক্যাল বিভাগের কর্মী অসীম সিটি সেন্টারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে রীতিমতো একটি লগ্নি প্রতিষ্ঠান ফেঁদে বসেছিলেন। বছর দু’য়েক আগে প্রতিষ্ঠানটি আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। আমানতকারীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টাকা মেলেনি। চণ্ডীদাসের বাসিন্দা জয় নারায়ণ সিংহ জানান, তিনি ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০১২ সালের মার্চ মাসে নাগাদ ৪ লক্ষেরও বেশি টাকা লগ্নি করেন। জয়নারায়ণবাবুর অভিযোগ, প্রথমে মাস আটেক টাকা মিললেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অসীমের দেওয়া চেকগুলিও বাউন্স করে বলে দাবি। এরপরই জয়নারায়ণবাবু-সহ বেশ কয়েকজন আমানতকারি অসীমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাতে দুর্গাপুরের এ-জোনের রানাপ্রতাপ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অসীমকে। অসীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমানতকারিদের টাকার হদিস জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।