গলসিতে তদন্ত। নিজস্ব চিত্র
বিস্ফোরণ-তদন্তে বম্ব স্কোয়াড
নিজস্ব সংবাদদাতা
গলসি
বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পরিত্যক্ত শৌচাগারের দেওয়াল, টিনের চাল। রবিবার ধ্বংসস্তূ পে তল্লাশি চালিয়েও তাজা বোমার কোনও খোঁজ পায়নি সিআইডির ‘বম্ব স্কোয়াড’। শুধু ধ্বংসস্তূপই নয়, তল্লাশি চালানো হয় ওই ভবনের আশপাশেও। তবে কোথাও বিস্ফোরক বা তাজা বোমা মেলেনি, দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে সুতলি ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে আচমকাই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গলসি ১ ব্লকের আটপাড়া গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই ধর্মপুর আটপাড়া হাজরাপাড়া শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ওই শৌচাগারটি পরিত্যক্ত। আচমকা বিকট বোমা ফাটার আওয়াজে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্কুল চত্বর ঘিরে ফেলে। রাতভর নজদারি রাখা হয়। পুলিশের অনুমান ছিল, ধ্বংসস্তূপে তাজা বোমা থাকতে পারে। রবিবার সকালে সিআইডি বম্ব স্কোয়াড এসে পৌঁছয় এলাকায়। ভাঙা ইটের তলায় আরও বোমা রয়েছে কি না, জানতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তবে ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশিতেও বোমার সন্ধান মেলেনি। পুলিশের দাবি, যে কটা বোমা রাখা ছিল সবই এক সঙ্গে ফেটে গিয়েছে।
এ দিনও গ্রামে আতঙ্ক রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। বেশ কয়েকবার আশেপাশের গ্রামে মারামারি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। স্কুলেও ওই দুই গোষ্ঠীর কেউ বোমা মজুত করেছিল, দাবি তাঁদের। তবে কখন, কী ভাবে বোমা রাখা হয়েছিল, টের পাননি এলাকার লোকজন। গ্রামের বাসিন্দা সামসুল হক, হারা শেখরা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ। সীমানা পাঁচিল না থাকলেও স্কুল চত্বরে তেমন কেউ ঢুকত না। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে। কে বা কারা বোমাগুলি রেখেছে তা কারও নজরে পড়েনি।’’
স্কুলের পাশেই রয়েছে একটি এক তলা পাকা বাড়ি। তবে ঘটনার দিন এবং এ দিনও বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সুতলি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু কোনও বোমা বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই এলাকায় যে বা যারা বোমাগুলি মজুত করেছিল তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’