Asansol

দোকান বণ্টনে দুর্নীতির নালিশ পুরসভার বিরুদ্ধে

শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প রূপায়ণে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন এলাকায় জিটি রোডের দু’দিকের অংশ দখল করে রাখা হকারদের উচ্ছেদ করা হয় গত বছরের গোড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

দোকান নিয়ে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।

পুরসভার তৈরি হকার্স মার্কেটের দোকান বণ্টন নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল আইএনটিটিইউসি। মঙ্গলবার পুরসভা চত্বরে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন ও মেয়রকে স্মারকলিপি দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। যদিও দোকান বণ্টনের ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। আইএনটিটিইউসি দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বিজেপি-ও তদন্ত দাবি করেছে।

Advertisement

শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প রূপায়ণে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন এলাকায় জিটি রোডের দু’দিকের অংশ দখল করে রাখা হকারদের উচ্ছেদ করা হয় গত বছরের গোড়ায়। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে সেই সময়ে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু অহলুওয়ালিয়া অভিযোগ করেন, প্রায় ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও হকারেরা এখনও পুনর্বাসন পাননি। পরিবার নিয়ে তাঁরা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুনর্বাসন দিয়ে হকার উচ্ছেদের পক্ষে মত দিয়েছেন। এর পরেও তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরবোর্ড হকারদের পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা করেনি। রাজুর অভিযোগ, ‘‘রবীন্দ্র ভবনের উল্টো দিকে পুরসভার তরফে একটি হকার্স মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও এই হকারদের জায়গা দেওয়া হয়নি। অথচ, কোনও দিন হকার ছিলেন না, এমন অনেককে দোকান দেওয়া হয়েছে। এই মার্কেটে দোকান বণ্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।’’ রাজুর দাবি, হকার্স মার্কেটের দোকান বণ্টনের তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে রবীন্দ্র ভবনের উল্টো দিকে প্রায় ৪০টি দোকানের এই হকার্স মার্কেট গড়া হয়েছিল। সম্প্রতি সেখানেই দোকান বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, পুরসভার অন্যতম ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হককে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওয়াসিমুলের দাবি, ‘‘নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দোকান বণ্টন হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষ।’’ লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে দলেরই শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় অস্বস্তিতে সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব। আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তথা পুরসভার অন্যতম ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘‘রাজুর কথায় সংগঠনের জেলা কমিটির অনুমোদন নেই।’’ তিনি আরও দাবি করেন, রবীন্দ্র ভবনের সামনে যাঁরা ফুটপথে দোকান করছিলেন, তাঁদেরই ওই হকার্স মার্কেটে দোকান দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কারা ওই মার্কেটে দোকান পেয়েছেন, বিশদ তথ্য প্রকাশের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। ওই মার্কেট যখন পুরসভা তৈরি করে সে সময় জিতেন্দ্রই ছিলেন মেয়র। তাঁর দাবি, ‘‘বার্নপুর রোড ও লাগোয়া জিটি রোডের ফুটপাথ দখল করে যাঁরা দোকান করছিলেন, তাঁদের মধ্যেই হকার্স মার্কেটের দোকান বণ্টন করার কথা ছিল। কিন্তু সে নিয়ে যখন ওদের দলেরই একাংশ দুর্নীতির অভিযোগ করছেন, তার মানে অবশ্যই দুর্নীতি হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পুরসভার তদন্ত করে সত্য প্রকাশ করা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement