—প্রতীকী চিত্র।
ম্যানেজারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে জন্য সমবায় নির্বাচন ঠিক ভাবে হচ্ছে না দাবি করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি দিলেন ভোটারদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মেমারির জুঝারপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যেই লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদেরই একটি গোষ্ঠী ম্যানেজারের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ওই চিঠি দিয়েছেন। যদিও ম্যানেজার আলিজান মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সমবায় দফতরের সার্কেল ইনস্পেক্টর তথা সহকারী রির্টানিং অফিসার অরূপকুমার মণ্ডলের দাবি, “অভিযোগ করলেই তো হবে না, তথ্য-প্রমাণ দিতে হবে।”
ওই সমবায়ে ভোটার ১৮৫৬ জন। সমিতি পরিচালনার জন্য ভোটে নির্বাচিত করতে হবে ৭৫ জনকে। গত ১২ নভেম্বর বেলা ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন তোলা ও ১৩ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে একটি গোষ্ঠী অন্তত ২০টি মনোনয়ন তুলতে পারেনি। অথচ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ৭৫টি আসনেই প্রার্থী দেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের দাবি, সমবায়ের ম্যানেজার নির্দিষ্ট সময়ের পরে ওই গোষ্ঠীর হাতে মনোনয়ন তুলে দেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে চিঠি দিয়ে ভোটের দিনক্ষণ জানানোটাই সমবায়ের রীতি। সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগের দিন মাইকে প্রচার করা হয়। এতে অনেক সদস্য ভোট সম্পর্কে জানতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই সমবায় নির্বাচনে মেমারি ১ ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের সঙ্গে মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের অনুগামীদের লড়াই হচ্ছে। বিধায়কের অনুগামীরাই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ম্যানেজার তাঁর সমর্থিত গোষ্ঠী ও বিজেপির লোকজনকে নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন। এমনকী নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তিও ‘চেপে’ রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের দাবি, সব কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকেরা হেরে যাবে বলে অভিযোগ করছে। বিধায়ক বা ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খোলেননি।
ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজারের দাবি, “কোনও পক্ষপাত করা হয়নি। আমি এই সমবায়ে চাকরি করি। যা বলার নির্বাচনী অফিসার বলবেন।” সহকারী রিটার্নিং অফিসার বলেন, “ভোটের দিন জানিয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঠিক নয়। নির্দিষ্ট সময়ের পরে কাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা দিতে বলা হয়েছে অভিযোগকারীদের।”