প্রতীকী ছবি।
নিরাপত্তা বাড়াতে ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহরে। শুক্রবার দুপুরে মেমারি থানার কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করে পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ও ট্রাফিকের দিক থেকে সিসি ক্যামেরার নজরদারির ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। শহরের জরুরি জায়গায় ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে।’’ মেমারি থানা সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার ছবি কন্ট্রোল রুমে ‘লাইভ’ দেখা যাবে। তার নজরদারিতে একটি দলও গড়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শহরের বামুনপাড়া মোড়, হাসপাতাল মোড়, চেকপোস্ট, চকদিঘি মোড়, নুদিপুর মোড়ে ক্যামেরা বসেছে। শহরের বাইরে মেমারি-মালডাঙার উপরে সাতগেছিয়া বাজার মোড়েও ক্যামেরা লাগিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের দাবি, ব্যাঙ্ক, এটিএম, কলেজ, হাসপাতাল, থানা, আদালত, পুরভবন, বাসস্ট্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে নজরবন্দি করা মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া, সাতগেছিয়া বাজারে হাজারখানেক দোকান রয়েছে। প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। অপরাধমূলক কাজকর্মও ঘটে। মেমারি-মন্তেশ্বর-কাটোয়া ছাড়াও বর্ধমান ও কালনা যাওয়ার রাজ্য সড়ক গিয়েছে ওই মোড় দিয়ে। ফলে, ক্যামেরা বসানো জরুরি।
পুলিশের বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। মেমারি থানার এক আধিকারিক জানান, প্রথম ধাপে ২১টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রোধে, অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ক্যামেরা কাজে লাগবে।
শহরের বাসিন্দা, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সুকান্ত হাজরা, শিক্ষক দেবপ্রিয় দত্তদের কথায়, ‘‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এতে যেমন পুলিশ, প্রশাসনের সুবিধা হবে, তেমনিই আমরাও উপকৃত হব।’’
এ দিন মেমারি থানায় অফিসারদের বসার একটি ঘর ও কর্মীদের থাকার ব্যারাকের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়, এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান।