ছেলের অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র
ভারত-চিন সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে। ছেলে সে দেশে আটকে থাকায় ঘুম উড়েছে বর্ধমানের এক পরিবারেরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় কুড়ি বছর ধরে চিনে থাকেন বর্ধমান ১ ব্লকের নবীনগরের আলহিলাল শেখ। সেনঝেন শহরে কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। শুক্রবার ওই ব্যবসায়ীর বাবা-মায়ের দাবি, ‘‘দেশে ফিরতে চাইছে ছেলে। কিন্তু একে করোনা, তায় যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি, জানি না কী ভাবে ফিরবে!’’ যদিও ওই ব্যবসায়ী ফোনে জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। প্রতিবেশী, চেনা পরিচিতদের সঙ্গে আগের মতোই মিলেমিশে আছেন তাঁরা।
ওই ব্যবসায়ীর মা হালিমা বিবি বলেন, ‘‘ছেলে জানিয়েছে, চার মাস ধরে দোকানপাট-ব্যবসা বন্ধ ছিল ওখানে। এখন সবে ট্রেন, বাস, বিমানবন্দর খুলেছে। কিন্তু তার মধ্যে যুদ্ধের আবহাওয়া। বিদ্বেষ, হামলার আঁচ সপরিবার ছেলের উপরেও পড়বে কি না, ভাবছি।’’ টিভি, সংবাদপত্রে যুদ্ধ পরিস্থিতির খবর দেখে চিন্তা বাড়ছে, দাবি তাঁদের। বাড়িতে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ীর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ জয়নাল আবেদিন এবং ভাই শেখ কামরুউদ্দিন। জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘‘করোনার সময় থেকেই চিন্তায় রয়েছি। ছেলের সঙ্গে ফোনে, ভিডিয়ো কলে কথা বলার পরেও চিন্তা কাটছে না।’’
তবে আলহিলাল জানান, তিনি যেখানে রয়েছেন, সেখানে মানুষের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে তেমন আতঙ্ক নেই। করোনা-ধাক্কা সামলাতে ব্যবসায় মন দিয়েছেন সবাই। তিনি বলেন, ‘‘শুনছি, ভারতে চিনা দ্রব্য ভেঙে, গুঁড়িয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। এখানে কিন্তু বিষয়টা সবাই মজার ছলেই নিচ্ছে। পরিবারের লোকজনদের আশ্বস্ত করছি।’’