প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ঘোষণা করেছে, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১০০ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াকেই পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। আর তাতেই জেলার একাধিক স্কুলের ফল অনেকটাই বদলে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় খুশি জেলার বহু স্কুলের পড়ুয়ারাও।
পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হন। তাই নিয়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হয় এলাকায়। রাস্তা অবরোধ করেন ছাত্রীরা। কেন বেশিরভাগ ছাত্রী বাংলা বা ইংরাজিতে অকৃতকার্য হলেন? পরীক্ষা না নিয়ে কেন তাঁদের ফেল করানো হল? এই প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁরা। যদিও সোমবারের ঘোষণার ফলে সেই ক্ষোভ প্রশমিত হল তো বটেই, এখন খুশির হাওয়া পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলের মধ্যেই। অবিভাবক ঝুমা দেবনাথ বলেন, ‘‘সরকারের সকলকে পাশ করিয়ে সিদ্ধান্ত খুবই ভাল।’’
ছবিটা কিছুটা একই চোপড়া হাইস্কুলেরও। সেই প্রতিষ্ঠানের ১১৪ জন ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হন। তারপর সেখানেও চলেছিল বিক্ষোভ। এ বার সংসদের সিদ্ধান্তে সকলেই পাশ করেছেন। ছাত্রীদের জন্য খুশি হলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলছেন, ‘‘পরীক্ষা হলে ওরা আরও ভাল ফল করত।’’