IISCO

IISCO: উচ্ছেদ-প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় ইস্কো

ইস্কো সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করে নোটিস ধরানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২২ ০৬:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

রেলের পরে, এ বার উচ্ছেদ-প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইস্কো। সংস্থার জমি দখল করে গড়ে ওঠা ‘অবৈধ’ নির্মাণ, আবাসন ‘দখল’-সহ নানা ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়েছে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া সেরে ফেলার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও।

Advertisement

ইস্কো সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করে নোটিস ধরানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে। বৃহস্পতিবার সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক অজিত সিংহ বলেন, “কারখানার জমি বা আবাসন থেকে দখলদার উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে জমি, আবাসন খালি না করা হলে, কারখানা নিজেই পদক্ষেপ করবে।”

এ দিকে, ইস্কো সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বার্নপুর বাজার-সহ আশপাশের কিছু এলাকায় বৈধ দোকান আছে। কিন্তু সেগুলি ছাড়া, প্রায় ন’শোটি নির্মাণ রয়েছে, যেগুলির কোনও বৈধ অনুমতি নেই। প্রতিটি দোকান চিহ্নিত করে নোটিস ধরানো হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘বার্নপুর বাজার কমিটি’র এক কর্তা বলেন, “ইস্কো আমাদের দিকটাও একটু দেখুক। আমাদের অনেকেই বাবা-ঠাকুরদার আমল থেকে এখানে ব্যবসা করছি।”

Advertisement

জানা গিয়েছে, বাড়ি-ময়দান রোড, হাসপাতাল রোড, ত্রিবেণী রোড, ব্যাঙ্ক রোড, নিউটাউন প্রভৃতি এলাকাতেও রয়েছে অবৈধ নির্মাণ। কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, ইস্কোর বিদ্যুৎ ও জলের অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। ফলে, প্রতি মাসে সংস্থার কয়েক লক্ষ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি, আপার রোড, ব্যাঙ্ক রোড, গুরুদ্বার এলাকায় প্রায় ১,২০০টি পরিত্যক্ত আবাসন আছে। সেগুলি অত্যন্ত জীর্ণ হওয়ায় সংস্থার শ্রমিক, কর্মীদের অন্যত্র সরানো হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বহিরাগতেরা আবাসনগুলির দরজার তালা ভেঙে অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন। তাঁদেরও উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইস্কোর আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ওই জীর্ণ আবাসনগুলি ভেঙে চারতলা প্রায় ১০৭টি বহুতল কর্মী-আবাসনতৈরি করা হবে।

এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। যে এলাকায় বাজার রয়েছে, সেই এলাকার (৭৮ নম্বর ওয়ার্ড) তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, “উঠিয়ে দেব বললেই কাউকে উঠিয়ে দেওয়া যায় না। বাজারের বেশির ভাগ দোকান মালিকই স্থানীয়। তাঁদের স্বার্থটা অবশ্যই দেখতে হবে।” তৃণমূলের অন্যতম জেলা সম্পাদক তথা পুরসভার কাউন্সিলর অভিজিৎ ঘটকের দাবি, “বছরের পর বছর ধরে বসবাসকারীদের পুনর্বাসন ছাড়া, উচ্ছেদ করা যাবে না। জোর করা হলে, আন্দোলনও তীব্র হবে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য গরিব মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এখন কেন্দ্রের ধ্বজাধারী সংস্থাগুলি তাঁদের রুটিরুজি বন্ধ করতে চাইছে।” তবে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, “রেল, ইস্কো-সহ কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জমি, আবাসন দখল করা হলে, উচ্ছেদ করা দরকার। রেল ও ইস্কো-কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement