এই এলাকাতেই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
কাউন্সিলরের স্বামীকে ছুরি মারার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রানিগঞ্জের ইস্ট কলেজপাড়া এলাকায় আক্রান্ত হন আসানসোল পুরসভার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সীমা সিংহের স্বামী গোপাল সিংহ। এই ঘটনার পরে, এলাকায় সমাজবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীর একাংশ।
সীমাদেবী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি একটি বৈঠক সেরে স্বামীর সঙ্গে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। আলুগড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র কার্যালয়ের কাছে তাঁদের বাড়ির অদূরেই নজরে পড়ে, দু’জন ভারী কোনও জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। কিছু চুরি করে পালাচ্ছে বলে সন্দেহ হওয়ায় তাদের পরিচয় জানতে চান তাঁরা। অভিযোগ, তখনই এক জন ছুরি চালায়। গোপালবাবুর অভিযোগ, তিনি আটকাতে গেলে তাঁর ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট লাগে। সেখানে ছটা সেলাই দিতে হয়েছে।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশপাশে, রাস্তার ধারে মদ-গাঁজা ও জুয়ার আসর বসে। প্রকাশ্যে এ সব কাণ্ড হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সীমাদেবীর অভিযোগ, “মাস ছয়েক আগে এ সব দুষ্কর্ম বন্ধ করার জন্য রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি। তার পরেও তা বন্ধ হয়নি। এর জেরে এলাকাবাসী আতঙ্কিত।’’
আলুগড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ মনোজ শর্মারও অভিযোগ, ‘‘হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত ভবন আছে। সেখানে সন্ধ্যা নামলেই অসামাজিক কাজকর্মের আসর বসে বলে এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন। আমি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জীর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলার আবেদন জানিয়েছি।” এলাকার বিজেপি নেতা সঞ্জীব মহোন্ত বলেন, “শাসকদলের কাউন্সিলরের সামনেই তাঁর স্বামী আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার, আইনশৃঙ্খলার উপরে প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।” রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের দাবি, প্রশাসনের উচিত ওই এলাকায় অভিযান চালানো।
পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক জনের খোঁজ চলছে। এলাকায় দুষ্কর্ম ঠেকাতে চারটি সিসি (ক্লোজ়ড সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।