স্ত্রীর মাথায় রডের আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা। — নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে কারও। এই সন্দেহে স্ত্রীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলেন স্বামী। স্ত্রী মারা গিয়েছেন ভেবে বিদ্যুতের তারে হাত দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করলেন স্বামী। দু’জনেই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ছাতনি গ্রামে।
ছাতনির বাসিন্দা জয়দেব খাঁ নামে ওই যুবক পেশায় রঙের মিস্ত্রি। জয়দেব এবং তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুর এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। রবিবার জয়দেবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুর ঝগড়া শুরু হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, অশান্তি চলাকালীন জয়দেব রিঙ্কুর মাথায় লোহার রড দিয়ে বার বার আঘাত করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। জয়দেবের পরিবারের লোকজন রিঙ্কুকে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই ঘটনার পর থেকে জয়দেবের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমারের তলায় জয়দেবকে তড়িদাহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জয়দেবকেও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জয়দেবের বক্তব্য, ‘‘আমার স্ত্রী খালি ফোনে অন্য জনের সঙ্গে কথা বলত। কার সঙ্গে কথা বলত তা অনেক বার জিজ্ঞাসা করলেও বলত না। ফোন নম্বরও মুছে দিত। তাই ঝগড়ার সময় রাগের মাথায় ওকে মেরেছি।’’ জয়দেবের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে রিঙ্কুর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।