বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে যুব তৃণমূল আয়োজিত সভা। নিজস্ব চিত্র
প্রায় ১৪০০ আসনের সবই ভর্তি। সভাস্থলের বাইরে কয়েকশো মানুষের ভিড়। রবিবার দুপুরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে দূরত্ব-বিধি ভেঙে যুব তৃণমূলের কর্মসূচি পালনের অভিযোগ উঠল বর্ধমানে।
এ দিন পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন বিধানসভা থেকে যুব কর্মীদের নিয়ে এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। এই কর্মসূচি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। তাদের প্রশ্ন, করোনা রুখতে জেলা প্রশাসন প্রতিদিন নির্দেশিকা জারি করছে, ভিড় এড়াতে প্রচার করছে। সেখানে শাসক দলের যুব সংগঠনের এ ভাবে কর্মসূচি পালন সংক্রমণ ছড়াতে সাহায্য করবে বলে তাঁদের দাবি। যদিও যুব তৃণমূলের নেতারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
জেলা যুব তৃণমূল সূত্রের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হতে চান, এমন যুবক-যুবতীদের সংগঠনে যুক্ত করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মতো জেলার ১৬টি বিধানসভা এলাকা থেকে অনেকে এ দিন দুপুরে সংস্কৃত লোকমঞ্চের সামনে হাজির হন। ভিড় হয়ে যায়। শেষে ৬৫০ জন রেজিস্ট্রেশন করে ভিতরে ঢুকতে পারেন। তার আগেই তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সংস্কৃতি লোকমঞ্চের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। কানায়-কানায় ভর্তি হয়ে যায় সভাস্থল। অভিযোগ, দূরত্ব-বিধি ছিল না। মঞ্চেও তৃণমূল নেতারা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসেছিলেন। সভায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তৃণমূলের রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, দলের জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ও বিধায়কদের একাংশ। তাঁদের হাত ধরেই ৬৫০ জন এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন।
বিজেপির যুব নেতা শুভম নিয়োগীর অভিযোগ, ‘‘সরকারের কথা মানছে না শাসক দলই।’’ ডিওয়াইএফের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক (বর্ধমান শহর ১) সোহম ঘোষেরও দাবি, ‘‘আমরা করোনা-পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করেছি। সেখানে দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে শাসক দলের সংগঠন কর্মসূচি করল।’’
যদিও এই অভিযোগ মানেনি জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্বাস্থ্য-বিধি মানার জন্যই সভামঞ্চে ছ’টি ‘স্যানিটাইজ়ার টানেল’ বসানো হয়েছিল। প্রত্যেককে ‘মাস্ক’ দেওয়া হয়েছে। মঞ্চে ‘স্যানিটাইজ়ার’ বোতল ছিল। সভা চলাকালীন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ভিড় বাড়ছে দেখে সভার ভিতরে সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।