উত্তপ্ত পরাশিয়া। নিজস্ব চিত্র।
লোহা চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের পরাশিয়ায় বন্ধ খনিতে। সিআইএসএফ ও পুলিশকে দেখে পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলেও অভিযোগ। সোমবার রাতের ঘটনা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, কুনস্তরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া কোলিয়ারির ৬-৭ নম্বর ‘ইনক্লাইন’ তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা পাঁচিল টপকে খনি চত্বরে ঢোকে। লোহার কাঠামো কাটতে দেখে প্রহরায় থাকা ইসিএলের চার জন নিরাপত্তারক্ষী বাধা দেন। এক নিরাপত্তারক্ষী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইএসএফ এলাকায় পৌঁছয়। তখন দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খনিতে ঢোকার মুখে থাকা পাঁচিল ভেঙে এর আগেও লোহার কাঠামো-সহ কেব্ল কেটে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
কেকেএসসি-র এরিয়া সম্পাদক তথা তৃণমূল পরিচলিত পরাশিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য রামেশ্বর ভগতের মতে, চার জন লাঠিধারী নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে দুষ্কৃতীদের আটকানো সম্ভব নয়। তাই ইসিএলের উচিত বন্ধ খনি থেকে কেব্ল-সহ সমস্ত যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গিয়ে সুরক্ষিত জায়গায় রাখা। তাঁর দাবি, তা না করায় খনি থেকে লোহার কাঠামো ও যন্ত্রাংশ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে, এই চুরি নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর মণ্ডল অভিযোগ করেন, “ইসিএল কর্তৃপক্ষের একাংশ তৃণমূলের মদতে বন্ধ খনিগুলির লোহা কেটে পাচার করছে।’’ এ তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা দাবি, ‘‘সিপিএমের আমলে তাদেরই প্রত্যক্ষ মদতে এ সব জাতীয় সম্পত্তি চুরির ঘটনা ঘটত। তাই সিপিএম নেতারা এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তি নেই। চুরির ঘটনা ঘটলেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।’’