বড় আকারের মিষ্টি। নিজস্ব চিত্র
গোপীনাথ, মদনমোহনের দোল উৎসব শুরু হয়েছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়ায়। প্রাচীন এই উৎসবে বসে মিষ্টি মেলার আসর। এ বারে দশ থেকে হাজার টাকা দামেরও মিষ্টি রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, মেলায় এলে মিষ্টি না কিনে ফেরেন না কেউ।
দোগাছিয়া গ্রামে রায়চৌধুরী পরিবারের প্রাচীন এই মন্দিরে বহু বছর ধরেই দোল উৎসব হয়। চার দিন ধরে চলে যাত্রাপালা, জলসা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথা মেনে মদনমোহন, গোপীনাথ, রাধানাথ এবং কৃষ্ণচন্দ্রকে মূল মন্দির থেকে দোল মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সারা দিন ধরে চলে পুজোপাঠ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নামী মিষ্টির কারিগরেরা পৌঁছে যান দোলমন্দিরের কাছে।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় গামলায় নানা আকারের মিষ্টি রসে ভাসছে। মিষ্টি বিক্রেতা বাসুদেব ঘোষ বলেন, ‘‘৩৫ বছর ধরে এখানে আসছি। বড় মিষ্টির ক্রেতা এখানে ছাড়া আর কোথাও নেই। এ বার যে হাজার টাকার মিষ্টি তৈরি হয়েছে তাতে ছানা লেগেছে আড়াই কেজি।’’ তিনি জানান, এক একটি মিষ্টি তৈরি হতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। আর এক বিক্রেতা অরূপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রচুর মিষ্টি বিক্রি হয় এই মেলায়। গত দু’বছর করোনার কারণে বহু মিষ্টিপ্রেমী মানুষ মেলায় আসতে পারেননি। এ বার শুরুর দিন থেকে ভিড় জমছে। আশা করছি ব্যবসা ভাল হবে।’’ একশো, দুশো, চারশো থেকে হাজার টাকা পিসের মিষ্টি দেদার কিনতে দেখা যায় স্থানীয় লোকজনকে।
রায়চৌধুরী পরিবারের বহু সদস্য বাইরে থাকেন। দোলে তাঁরা সকলেই বাড়ি ফেরেন। পরিবারের তরফে কাজল রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বহু বছরের পুরনো এই উৎসব এখনও সর্বজনীন হয়ে গিয়েছে। চার দেবদেবী দোল মন্দিরেই পূজিত হন এই সময়ে।’’