High Price of Vegetables

দাম বাড়ছে আনাজের, কম জোগানও

কালনার চকবাজার বাজারে আসা ক্রেতাদের অনেকেরই দাবি, এই সময় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার আনাজ কিনলে থলে ভর্তি হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অন্য বার শীতের শুরুতেই মরসুমের তাজা, রঙিন আনাজে ভরে যায় বাজার। দামও থাকে তুলনায় কম। এ বার চিত্র ভিন্ন। খুচরো বাজারগুলিতে আনাজ কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের। মিলছে না ভাল মানের জিনিসও। শুক্রবার খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, এক মাত্র ফুলকপি ছাড়া সমস্ত আনাজের জোগান কম রয়েছে। তবে আবহাওয়া ভাল থাকলে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বেগুন, বাঁধাকপি-সহ বেশ কিছু আনাজের জোগান বেড়ে যাবে বলে আশা জেলার চাষিদের।

Advertisement

এ দিন কালনার চকবাজার বাজারে আসা ক্রেতাদের অনেকেরই দাবি, এই সময় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার আনাজ কিনলে থলে ভর্তি হয়ে যায়। এ বার সেখানে ৫০০-৬০০ টাকাতেও থলে ভরছে না। বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শীতে পড়ে গিয়েছে। অথচ এখনও বাজারে আনাজের ভাল জোগান নেই। যা মিলছে তার দাম অনেক বেশি।” সদ্য বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ওঠা কালনা ১ ব্লকের বাসিন্দা রমেশ মণ্ডল বলেন, “এই সময় আনাজের যা দাম থাকে তার তুলনায় এ বার দাম তিন গুণের বেশি। অনুষ্ঠানের খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।”

কালনা, পূর্বস্থলী পাইকারি বাজারগুলি থেকে প্রতি বার গাড়ি গাড়ি শীতের আনাজ কিনে রাজ্যের অন্য বাজারে নিয়ে যায় ফোরেরা। এমনকি কালনার আনাজ ভিন্‌ রাজ্যেও যায়।পাইকারি বাজারগুলির আড়তদারদের দাবি, সম্প্রতি জোগান বাড়ায় ফুলকপির দাম কিছুটা কমেছে। কালেখাঁতলা বাজারের আড়তদার ক্ষুদিরাম মাহত জানান, হটস্টার নামে জলদি জাতের একটি ফুলকপি শীত শুরুর আগে বাজারে চলে আসে। এ বার দুর্যোগে এই ফুলকপির চাষ নষ্ট হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি চল্লিশ-একান্ন প্রজাতির ছোট আকারের ফুলকপির জোগান বেড়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ৩০০৩ নামে আকারে বড় ফুলকপি বাজারে চলে আসবে। তবে অন্য আনাজের জোগান এখনও কম।

Advertisement

কেন শীত পড়ে গেলেও আনাজের জোগান কম বাজারে?

পূর্বস্থলীর আনাজ চাষি ফিরোজ মোল্লা বলেন, “এ বার কখনও অতিরিক্ত গরমে, কখনও টানা বৃষ্টিতে জল জমে আনাজের চাষ বার বার নষ্ট হয়েছে। ফের দানার জেরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেশির ভাগ আনাজের জমিতে জল জমে যায়। নষ্ট হয়ে যায় আনাজ গাছ। জমি তৈরি করে শীতের আনাজ চাষ করতে দেরি হয়ে যায়।” তবে পূর্বস্থলীর আনাজ চাষি গোপাল ঘোষ বলেন, “আবহাওয়া ভাল থাকলে বেগুন, বাঁধাকপি-সহ বেশ কিছু আনাজের সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে জোগান অনেকটাই বেড়ে যাবে, ফলে দরও কমবে।” রাজ্যের এক উদ্যানপালন আধিকারিকের বক্তব্য, “দানা আনাজ চাষে ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে। শীতের আনাজ চাষ করতে দেরি হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement