এই সেই আর্জি। নিজস্ব চিত্র
প্রায় পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। দম্পতির রয়েছে বছর তিনেকের এক কন্যা সন্তানও। কিন্তু সে সব তথ্য ‘গোপন’ রেখেই সরকারের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে টাকা পাওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন গলসি ২-এর সাহেবডাঙা গ্রামের রাসমণি কিস্কু। তদন্তের পরে আর্জি খারিজ করে এমনটাই জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৮ বছর বয়সের পরে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পায় পরিবার। সে জন্য বিয়ের এক মাস আগে নিমন্ত্রণপত্র, আয়ের শংসাপত্র, পাত্র ও পাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র ব্লক বা পুরসভার নির্দিষ্ট দফতরে জমা দিতে হয়। বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা আয়, এমন পরিবারগুলিই রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকার জন্য আবেদন করতে পারে। ‘আবেদন’ জানিয়েছিলেন রাসমণিও, জানায় ব্লক প্রশাসন। সেই আবেদন খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান স্থানীয় কুরকুবা পঞ্চায়েতের কর্তারা। প্রধান রূপা বাগদি বলেন, ‘‘তদন্তে আমরা জানতে পারি, ওই মহিলার পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। বিষয়টি বিডিও-কে জানানো হয়েছে।’’
তা হলে কেন এমন আবেদন? রাসমণির দাবি, ‘‘ঠিক মতো নিয়মটা জানতাম না। ভুল হয়ে গিয়েছিল। আর এমনটা হবে না।’’ মহিলার স্বামী তথা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার নেতা ভোলা টুডুর অবশ্য ‘যুক্তি’, ‘‘বাড়ির অমতে ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। এখন বাড়ি থেকে ফের রীতিনীতি মেনে বিয়ে দিতে চাইছে। ১৬ অগস্ট বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তাই আমার স্ত্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করেছিলেন।’’ বিডিও (গলসি ২) শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট আবেদনটি পরীক্ষার সময়েই বিষয়টি নজরে পড়ে। মহিলার বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। উনি এ কাজ আর করবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।