ভেঙে পড়ছে ‘গ্যাস হোল্ডার’। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পশহর দুর্গাপুরের এক সময়ের গর্ব দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড কারখানার কোক ওভেন প্লান্টের ‘গ্যাস হোল্ডার’ ভেঙে ফেলা হল। বিশাল আকৃতির গ্যাস হোল্ডার ভেঙে ফেলার ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
লাভজনক সংস্থা হিসেবেই সত্তরের দশকে দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড কারখানা চলছিল। বিদ্যুৎ তৈরির সঙ্গে কোক ওভেন কারখানাটি কয়লা থেকে উৎপাদিত গ্যাস সরবরাহ করত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা-সহ একাধিক কারখানায়। শুধু তাই নয় পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস হিসেবে সরবরাহ করা হত কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরেও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ হয়েছে।
কোক ওভেন প্ল্যান্টটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬১ সালে। ২০১৫ সালে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কুলিং ডাউনের কারণে। দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্ক্র্যাপ (অব্যবহৃত জিনিস) করা দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারে যে সংস্থা বেশি দাম দিয়েছিল সেই সংস্থাকে এটি ভেঙে ফেলার বরাত দেওয়া হয়। এখন এগুলি ব্যবহার করা হয় না। তাই এগুলিকে বিক্রি করে যে অর্থ আসবে সংস্থার কাছে, তা ডিপিএলের পুনর্জীবনে কাজে লাগবে।’’
ডিপিএল-এর আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাস বলেন, ‘‘বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে তৈরি হয় এই কোক ওভেন প্ল্যান্ট। তা ভেঙে ফেলা হল। কর্মীদের কাছে এ ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই কোক ওভেন প্ল্যান্টটি দুর্গাপুরের গর্ব ছিল। তাকে কার্যত শেষ করে দেওয়া হল। আমরা বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছি, এ নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।
যদিও এই নিয়ে শাসক-বিরোধী শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । বিজেপি রাজ্য নেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, ‘‘এই সরকার রাজ্যের সমস্ত কারখানা বন্ধ করে বিক্রি করে দিচ্ছে সিন্ডিকেট রাজ কায়েম করছে।’’
অন্য দিকে, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘‘এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কলকারখানা বানানোর জন্য, কারখানা ঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনেক কিছু করেছেন। বিরোধীদের কাজ সমালোচনা করা, তাঁরা তা করছেন।’’