প্রতীকী ছবি।
সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অভিযোগকারিণী বিচারককে জানান, ঘটনার সময় অন্ধকারে কাউকে দেখতে পাননি তিনি। রাজনৈতিক চাপে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি, এই বক্তব্যের হলফনামাও দেন বিচারকের কাছে। এর পরেই কাটোয়ার পানুহাটে বারুজীবী কলোনিতে এক বধূকে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করল বর্ধমান আদালত। আরও এক অভিযুক্তেরও জামিন হয়েছে।
অভিযুক্ত, চর পানুহাটের বাসিন্দা সুরজিৎ সরকারের আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “অভিযোগকারিণী আদালতে দাঁড়িয়ে ও হলফনামা দিয়ে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেছেন। রাজনৈতিক কারণে সুরজিৎকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ যদিও সরকারি আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে জানান, মামলার নথিতে অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। গোপন জবানবন্দিতে অভিযোগকারিণী কী ঘটেছিল, জানিয়েছিলেন। এখন ‘চাপে’ পড়ে উল্টো কথা বলছেন। এ দিন অভিযোগকারিণীর বক্তব্য শুনে জেলা জজ অজেয়া মতিলাল বিরক্তি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, এ ধরণের গুরুতর অভিযোগ মানসম্মান নষ্ট করে। এ ব্যাপারে অভিযোগকারিণীর সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল রাতে বাড়িতে ছ’মাসের শিশুকে নিয়ে ঘুমনোর সময় হাত-পা চেপে ধরে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণীর স্বামী বিজেপি কর্মী। দলের কাজে ওই দিন বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। পরের দিন স্বামী ফেরার পরে কাটোয়া থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই মহিলা।