এই নির্মাণে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
ডোবা বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। গলসির উদয়নপল্লির বাসিন্দা পার্থসারথি সাম গত মাসে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের দফতরের অভিযোগ জানিয়েছেন। পার্থবাবুর অভিযোগ, যুব সভাপতি সুজনকুমার মণ্ডল সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গলসি বাজারের পঞ্চায়েত সমিতির মার্কেটের পাশে ডোবা বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণ করছেন। পঞ্চায়েত সমিতির মার্কেটের বাড়তি কিছুটা জায়গাও তিনি দখল করে নিয়েছেন, দাবি তাঁর। যদিও অভিযোগ মানেননি ওই নেতা। বিডিও (গলসি ২) শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত ওই নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট জায়গা নিয়ে তদন্ত চলছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই জায়গাটি সম্পর্কে জানতে চেয়ে অথ্য জানার অধিকার আইনে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থবাবু। তাঁর দাবি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর যা রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে জমিটি পুরোটাই ‘ডোবা’ বলে উল্লিখিত। পরচাতেও কিছুটা অংশ ডোবা বলে নথিভূক্ত। তিনি বলেন, “সুজনবাবু ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ করছেন। নির্মাণের নকশা পাশ করেছেন বিডিও। যা অনৈতিক ও আইনত দণ্ডনীয়। আমি চাই, ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হোক।” অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই দু’পক্ষকে ডেকে বক্তব্য শুনেছে জেলা প্রশাসন। সুজনবাবুর দাবি, “আমি আমার জায়গায় নির্মাণ করছি। ওই জায়গা যখন কিনেছিলাম, তখন ‘শালি’ শ্রেণির ছিল। তাঁর আগে যিনি মালিক তখনও জমির শ্রেণি ‘শালি’। আর এস পরচাতেও ‘শালি’। তারপরে শ্রেণি পরিবর্তন করে বাস্তু করে নির্মাণ করছি।” তাঁর দাবি, “জেলা প্রশাসনের শুনানিতে সমস্ত প্রমাণ আমি দাখিল করেছি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”
ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জায়গাটিতে কিছু গরমিল রয়েছে। আবার মাপজোক করে, সংশ্লিষ্ট জায়গা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে চেয়েছে জেলা প্রশাসন।