গাড়ি চুরির ঘটনায় ধন্দে গলসি থানা। — ফাইল চিত্র।
অ্যাপে গাড়ি ভাড়া করে যাত্রী সেজে ছিনতাইয়ের ঘটনার এখনও কোনও সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ। তবে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ‘জামতাড়া গ্যাং-এর’ যোগ রয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। সেখান থেকে এসে পরিকল্পনা মাফিক ছিনতাই করা হয়েছে, না কি অপরাধীদের কলকাতাতেও ডেরা রয়েছে, তা দেখছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া গাড়িটির বয়সও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
গলসি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অপরাধীদের ধরতে বিভিন্ন সূত্রে খুঁজে বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিহারের দু’টি থানার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে। কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়খণ্ড, বিহারের সীমানার একাধিক জায়গায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।
রবিবার রাতে দুর্গাপুর যাওয়ার জন্য ফোনে ওই গাড়িটি ভাড়া করেন দুষ্কৃতীরা। রাত ১২টা নাগাদ কলকাতার টেগোর পার্কে গাড়ি নিয়ে যান কসবা থানার কেএন সেন রোডের বাসিন্দা পিয়ারিলাল গুপ্ত। তদন্তকারীদের দাবি, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধরে দুর্গাপুরের দিকে যাওয়ার সময়ে গলসির পুরসার একটি হোটেলের কাছাকাছি গাড়িতে থাকা চার যুবকের মধ্যে এক জন বমি করতে শুরু করেন। গাড়ি থামাতে বলেন তাঁরা। গাড়িটি দাঁড় করাতেই দু’জন নেমে চালকের কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। আর এক জন বন্দুক ঠেকিয়ে চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। তাঁর মোবাইল কেড়ে গাড়ি নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশ ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে একটি পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ এবং কলকাতার টেগোর পার্ক এলাকার ফুটেজ সংগ্রহ করে। পশ্চিম বর্ধমানের বাঁশকোপা, আসানসোলের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের একাধিক স্থানের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়। পুলিশের দাবি, টেগোর পার্কের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যাত্রীরা গুলশন কলোনি থেকে হেঁটে এসে গাড়িতে উঠেছেন। তা থেকে তাঁদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা কলকাতার বাসিন্দা হতে পারেন। আবারের বিহারের যোগ রয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের একাংশের।
এর সঙ্গেই গাড়িটির বয়স পুলিশকে ভাবাচ্ছে। পুলিশের দাবি, যে গাড়িটি ছিনতাই হয়েছে সেটি ২০১৮ সালের। পাঁচ বছরের পুরনো গাড়ি বিক্রি করে অপরাধীরা বেশি টাকা পাবে না। তা হলে কেন ছিনতাই করা হল, উত্তর মেলেনি।