জামুড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র
দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে গত রবিবার থেকে টানা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জামুড়িয়ার বালানপুর শিল্পতালুকের চারটি বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে কারখানাগুলির কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় এক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ওই কারখানাগুলিতে মোট একশো জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, দৈনিক মজুরি মেলে ১৮৮ টাকা, যা সরকার নির্ধারিত মজুরির তুলনায় অনেকটাই কম। কোনও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানার ছাড়াই আন্দোলন করছেন ওই কর্মীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, পিএফ সংক্রান্ত নথিপত্র দেখানো হয় না। বছর তিনেক আগে তিন জন কর্মী অবসর নিলেও পিএফ-এর বকেয়া টাকা পাননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ‘খোরাকি’ না দেওয়া, অতিরিক্ত কাজ করিয়েও মজুরি না দেওয়া, চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন ওই কর্মীরা। তাঁরা জানান, কারখানাগুলি দূষণরোধী যন্ত্র না চালানোয় তাঁদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ফি দিন ২৭৯ টাকা মজুরি, নির্দিষ্ট সময়ে বোনাস দেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করছেন বলে জানান।
পশ্চিমবঙ্গ সিমেন্ট ম্যানুফাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের বালানপুর শিল্পতালুক শাখার সম্পাদক রাজকুমার মিত্তল জানান, মঙ্গলবার জামুড়িয়া থানায় পুলিশ-প্রশাসন কর্মী ও কারখানাগুলির কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করলেও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। ফের প্রশাসন বৈঠক ডেকে সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা তাঁর। তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা ২১০ টাকা মজুরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কর্মীরাতা মানেননি।’’
এ দিকে, শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমেন্ট কারখানায় সরকার নির্ধারিত দৈনিক মজুরি ২৬৬ টাকা। কম বেতনে কাজ করানোর অভিযোগ তাঁদের কাছে কেউ জানাননি বলেও দাবি দফতরের। কিন্তু এই ‘নির্ধারিত’ মজুরি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজকুমারবাবুরা। তবে বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মিলিত ভাবে
চেষ্টা করছে।’’