Coronavirus Lockdown

জামাইষষ্ঠীর দিনে ঝাঁপ খুলতেই ভোজনরসিকদের ভিড়, খুশি রেস্তরাঁ মালিকেরাও

বিধিনিধেষের জেরে অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার বন্দোবস্ত থাকলেও ভোজনরসিকদের মুখোমুখি পেয়ে খুশি রেস্তরাঁ-মালিকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২১ ২৩:২৫
Share:

বুধবার সন্ধ্যায় ব্যস্ততা দেখা গেল বর্ধমান শহরের একটি অভিজাত রেস্তরাঁয়। —নিজস্ব চিত্র।

জামাইষষ্ঠীর দিনে ঝাঁপ খুলতেই ভিড় দেখা গেল রেস্তরাঁয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো বর্ধমানের ভোজনরসিকেরা বুধবার শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়াদাওয়ায় মেতে উঠেছেন। করোনার সংক্রমণ রুখতে বিধিনিধেষের জেরে অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার বন্দোবস্ত থাকলেও ভোজনরসিকদের মুখোমুখি পেয়ে খুশি রেস্তরাঁ-মালিকেরাও।

বুধবার সন্ধ্যায় ব্যস্ততা দেখা গেল বর্ধমান শহরের একটি অভিজাত রেস্তরাঁয়। বাঙালি খাবারের পাশাপাশি ওই রেস্তরাঁতে চাইনিজও পাওয়া যায়। রেস্তরাঁয় বসে নানা পদ চেখে দেখার ফাঁকে অনেকেই জানালেন, ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতেই আসা। শহরের বীরহাটার বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডল বলেন, “এত দিন তো শুধুমাত্র অনলাইনে খাবার অর্ডার করার সুযোগ ছিল। তবে জামাইষষ্ঠীর দিন সুযোগ পেয়ে এখানে খেতে এসে বেশ ভাল লাগছে।”

১৬ জুন থেকে রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও প্রতি দিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তা খোলা যাবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির দিকেও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিধিনিষেধ সত্ত্বেও অনেকেই পা বাড়িয়েছেন রেস্তরাঁয়। নীলপুরের বাসিন্দা ঝুমা দাসের মতে, “রেস্তরাঁয় বসে খাওয়ার আলাদাই মজা রয়েছে।”

Advertisement

ভোজনরসিকদের আসতে দেখে উচ্ছ্বসিত রেস্তরাঁর মালিকেরা। সরকারি নির্দেশ মেনে যাবতীয় স্থাস্থ্যবিধি পালনও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শহরের বি সি রোডের এক রেস্তরাঁর মালিক দেবাশিস রায় বলেন, “এতদিন পর রেস্তরাঁ খোলার নির্দেশ দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সমস্ত রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রেস্তরাঁ খোলা হয়েছে। বার বার স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। যাঁরা আসছেন, তাঁদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়ার পাশাপাশি থার্মাল স্কিনিং করে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement