এডিডিএ দফতরে। নিজস্ব চিত্র
জেলায় দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র দ্বন্দ্ব নিয়ে চিন্তিত তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের নতুন পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীঘ্রই কলকাতার বৈঠক ডাকা হচ্ছে বলে দুর্গাপুরে এসে জানালেন তিনি।
বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির পদে ছিলেন পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে শহরের দু’টি আসনই হাতছাড়া হওয়ার পরে, দল ও শ্রমিক সংগঠনের সব কমিটি ভেঙে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার পর থেকে বছর দু’য়েক আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি পদ ফাঁকা ছিল। ২০১৮ সালের জুনে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে সংগঠনের জেলা সভাপতি করা হয়। সংগঠন সূত্রের দাবি, তার পরেই প্রাক্তন সভাপতি ও নতুন সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। কয়েকটি বেসরকারি কারখানায় বিশ্বনাথবাবু কিছু কর্মসূচি নিলেও শহরের প্রধান দুই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ডিএসপি এবং এএসপি-র শ্রমিক সংগঠনের রাশ প্রভাতবাবুর অনুগামীদের হাতেই রয়েছে বলে আইএনটিটিইউসি সূত্রের খবর। এএসপি-র বিলগ্নিকরণের বিরোধিতায় সংগঠনের কর্মসূচিতেও বিশ্বনাথবাবুকে দেখা যায়নি।
লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে সভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বনাথবাবুর প্রশংসা করেন। তবে লোকসভা ভোটে জেলার দু’টি আসনেই তৃণমূলের হারের পরে আর সে ভাবে দলের কোনও কর্মসূচিতে বিশ্বনাথবাবুকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ নেতা-কর্মীদের। এমনকি, দুর্গাপুরে আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনের মিছিলেও দেখা যায়নি তাঁকে। তবে প্রভাতবাবু ছিলেন।
শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরে দলের সাংগঠনিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে বিশ্বনাথবাবুর অনুগামী এক কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, বিশ্বনাথবাবুকে শ্রমিক সংগঠনে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বৈঠক শেষে ফিরহাদ বলেন, ‘‘শ্রমিক সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে। কলকাতায় বৈঠক ডেকেছি। বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, প্রভাত চট্টোপাধ্যায় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই বৈঠকে থাকবেন।’’ বিশ্বনাথবাবু তৃণমূলের সঙ্গে আছেন কি না জানতে চাওয়া হলে ফিরহাদ বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই আছেন। তৃণমূলের বেঞ্চে বসছেন। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি করছেন। আমি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছি, কথা বলব।’’ বিশ্বনাথবাবুর ফোন বন্ধ থাকায় বারবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রভাতবাবু জানান, দলের নির্দেশমতো কাজ হবে।