তখনও নেভেনি আগুন। নিজস্ব চিত্র
ট্রান্সফর্মারে আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল আসানসোলের রেলপাড় এলাকায়। সোমবার সকালের ঘটনা। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে, দমকলকর্মীরা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ দফতর ট্রান্সফর্মার মেরামত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রেলপাড়ের নয়ামহল্লা বাজারে থাকা ওই ট্রান্সফর্মারটিতে এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণ হয়। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে ট্রান্সফর্মারটি। আতঙ্কে পালানোর চেষ্টা করেন মানুষজন। পৌঁছয় স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ও দমকলকর্মীরা। জল-বালির মিশ্রণ ছিটিয়ে আগুন নেভানো হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরনো এই ট্রান্সফর্মার মাঝেমধ্যে বিকল হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দা সাজিদ হুসেনের অভিযোগ, ‘‘সাত দিন ধরে ট্রান্সফর্মার থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ‘টোল-ফ্রি’ নম্বরে রোজ ফোন করে সে কথা জানানো হচ্ছে। ‘দেখা হবে’ বলে ফোন রেখে দেওয়া হচ্ছে।’’ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর ওয়াসিমুল হকও। তাঁর দাবি, ‘‘রেলপাড় এলাকায় এমন একাধিক খারাপ ট্রান্সফর্মার আছে। দফতরের আধিকারিকদের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হচ্ছে না।’’ বাসিন্দাদের দাবি, সপ্তাহ খানেক আগে তাঁরা নয়ামহল্লার ওই ট্রান্সফর্মারটি সংস্কার বা বদলের আবেদন জানিয়ে বিদ্যুৎ দফতরকে চিঠি করেছেন। কিন্তু কিছুই হয়নি।
এই সব অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আসানসোল শহর ১ নম্বরের ইঞ্জিনিয়ার নারায়ণচন্দ্র গড়াই বলেন, ‘‘অভিযোগ জমা পড়লেই দফতরের কর্মী, আধিকারিকেরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এ দিন সকালে আগুন লাগার খবর পেয়েই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
কী কারণে আগুন লাগল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দফতরের এক আধিকারিক জানান, এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহের পরিমাণের উপরে নির্ভর করে ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। তাঁর দাবি, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে খাতায়কলমে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা, বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। অবৈধ সংযোগের চাপ সহ্য করতে না পেরে ট্রান্সফর্মারে আগুন ধরে গিয়েছে। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে দফতরের কর্মীরা অবৈধ সংযোগ ছিন্ন করেন। কিন্তু কিছুদিন পরে ফের তা জুড়ে নেওয়া হয়।