আগুন ধরানোর অভিযোগ

দোকানের মালিক চন্দন সরকার চিত্তরঞ্জন থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, পুজোর আগে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের বাসিন্দা এক যুবক তাঁর দোকান থেকে একটি জামা কেনেন। পুজোর কয়েক দিন দোকান বন্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৬
Share:

আমলাদহি বাজারে। নিজস্ব চিত্র

একটি কাপড়ের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজারের ঘটনা। ওই দোকানের মালিক ও বাজার কমিটির অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান বাজার কমিটির সদস্যেরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

দোকানের মালিক চন্দন সরকার চিত্তরঞ্জন থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, পুজোর আগে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের বাসিন্দা এক যুবক তাঁর দোকান থেকে একটি জামা কেনেন। পুজোর কয়েক দিন দোকান বন্ধ ছিল। শুক্রবার রাতে দোকানে এসে ওই যুবক ও তাঁর দুই সঙ্গী জামাটি এনে তা পাল্টে দিতে বলেন। চন্দনবাবুর দাবি, ‘‘ওই যুবকেরা বলে, ‘জামায় রং লেগে রয়েছে। পাল্টে দিতে হবে’। বিক্রির সময়ে রং লেগে ছিল না জানিয়ে আমি তা পাল্টাতে অস্বীকার করি। এর পরেই ওই তিন জন গালিগালাজ করে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দেয়।’’

ওই বস্ত্র ব্যবসায়ী জানান, এর পরে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ স্থানীয় কয়েক জন দোকানদারের কাছ থেকে ফোনে খবর পান, দোকান জ্বলছে। খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে ঘটনাস্থলে এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে চন্দনবাবুর দাবি, ‘‘দোকানের বেশির ভাগ পোশাকই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

এর পরেই ‘দুষ্কৃতীদের’ বিরুদ্ধে সরব হন বাজার কমিটির সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ, আমলাদহি বাজারে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সব দোকানেই জেনারেটরের আলো জ্বলে। রাত ৯টায় আলো নেভানো হয়। শুক্রবারও ওই সময়ে আলো নেভানোর পরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন চন্দনবাবু। কমিটির কোষাধ্যক্ষ উত্তম ধর বলেন, ‘‘দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’’

বাজার কমিটির সদস্যদের দাবি, অতীতে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। তবে, সম্প্রতি নানা কারণে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, মিহিজামের বাসিন্দা কিছু যুবক এই বাজারে এসে অশান্তি পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন। তবে পুলিশ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement