বিপত্তি: ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা। চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজারে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
আগুন ধরল চিত্তরঞ্জন রেল কলোনির আমলাদহি বাজারে। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় পুড়ে ছাই একটি কাঠের গুদাম। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত আরও প্রায় তিনটি দোকান। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ দিকে, ‘অবৈধ’ দোকানের জেরে দমকলের ইঞ্জিন বাজারে ঢুকতেও সমস্যা পড়ে বলে অভিযোগএলাকাবাসীর একাংশের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৭টায় কয়েকজন গুদামটি থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গুদাম মালিক মোহন চক্রবর্তী। তিনি গুদামের তালা খুলে দেখেন, মজুত কাঠে আগুন ধরেছে। এ দিকে, আগুন বাড়তে থাকায় লোকজন ও অন্য ব্যবসায়ীরাও জড়ো হয়ে যান এলাকায়। তাঁরাই প্রাথমিক ভাবে জল ঢেলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তবে তাতে লাভ হয়নি। খবর পেয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (সিএলডব্লিউ) থেকে দু’টি ও আসানসোল থেকে রাজ্য দমকলেরও একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। মোহনবাবু বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন ধরল, বুঝতে পারছি না! ক্ষতির পরিমাণও এখনই বুঝতে পারছি না!’’ আগুন ধরার কারণ কী, তা রাত পর্যন্ত জানাতে পারেননি দমকলের আধিকারিকেরাও।
এ দিকে, ঘটনার পরে এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, বেশ কিছু অবৈধ দোকান গজিয়ে ওঠায় বাজারে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা ছোট হয়ে গিয়েছে। এর জেরে, এ দিন, দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়ে বলে দমকল সূত্রেও জানা যায়। কারখানার দমকলের প্রথম ইঞ্জিনটি ঢোকার সময়ে তা আটকে যায়। শেষমেশ কয়েকটি দোকানের সামনের অংশ ভেঙে ইঞ্জিনটিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন আইএনটিইউসি-র কারখানা শাখার কার্যকরী সভাপতি নেপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘নিত্যদিন একটু-একটু করে আমলাদহি বাজারের জমি দখল করে অবৈধ দোকান গজিয়ে উঠছে। এর ভয়াবহ পরিণতি আজ দেখা গেল।’’ সিএলডব্লিউ-র সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিংহ বলেন, ‘‘আগুন লেগে কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবৈধ দোকানের অভিযোগটির বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। উপযুক্ত পদক্ষেপকরা হবে।’’
ঘটনাচক্রে, চিত্তরঞ্জনের এই বাজারে আগেও একাধিক বার আগুন ধরেছে। ২০১১ ও ২০১৪-য় আগুন লাগার ফলে, বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।