বরাকরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
শুরু হল চার দিনের বরাকর উৎসব। শনিবার গুরু মেডিক্যাল মাঠে উৎসবের সূচনা করেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (ওয়েস্ট) অনামিত্র দাস। উদ্যোক্তারা জানান, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিনই মানকরে শুরু হয় বিদ্যাসাগর মেলা।
বরাকরের সিদ্ধেশ্বর শিবমন্দির প্রাঙ্গণে চারটি পাথরের মন্দির রয়েছে। ভারতীয় পুরাত্বত্ত সর্বেক্ষণ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ১৪১৬ সালে এই মন্দির নির্মাণ হয়েছিল। উৎসব কমিটির তরফে শুভময় চক্রবর্তী জানান, এ বার তাঁরা মেলার মাধ্যমে এই মন্দিরকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। সে জন্য উৎসবের তোরণ, ব্যানার, হ্যান্ডবিল, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও বিশিষ্টদের জন্য উপহারে একটি করে মন্দিরের ছবি রাখা হয়েছে। উৎসবের প্রথম দিনে জামুড়িয়ার প্রতিবন্ধী মাধ্যমিক পড়ুয়া বিকাশ বাউরি, কুলটির সমাজসেবক গোপীকান্ত দত্ত, বরাকরের মৃৎশিল্পী অনিল ধীবর ও ‘হেরিটেজ লাভার’ বর্ধমানের সোমনাথ রায়কে সংবর্ধিত করা হয়।
আয়োজকরা জানান, বরাকরের বেগুনিয়া মোড়ের কাছে ডিসেরগড় রোড লাগোয়া মাঠে ২৫ বছর আগে এই উৎসব শুরু হয়েছিল। পরে উৎসব বড় হওয়ায় তা ১২ বছর আগে গুরু মেডিক্যাল মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকেও প্রচুর মানুষ এই উৎসবে যোগ দিতে আসেন।
মানকরে বিদ্যাসাগর মেলা শুরু হল শনিবার। মানকর কলেজের পাশে কুচিডাঙা স্কুল থেকে একটি পদযাত্রা হয়। মানকর উচ্চ বিদ্যালয়ের কথামালা মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। মেলা কমিটি জানায়, ১৩ বছরে পা রাখা এই মেলা চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন থাকছে নানা অনুষ্ঠান। বইমেলারও আয়োজন হয়েছে। আশপাশের বহু মানুষ ভিড় জমান।