—প্রতীকী চিত্র।
রেলের কাছে সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আসানসোল থেকে হাওড়া পর্যন্ত সরাসরি নতুন ট্রেন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়। চিত্তরঞ্জন থেকেও সরাসরি হাওড়া পর্যন্ত নতুন ট্রেন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
বণিক সংগঠনটি জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৫টায় অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস আসানসোল থেকে ছাড়ে। সকাল ৭টা ৩-এ কোলফিল্ড, সকাল ১০টা ৪৭-এ জনশতাব্দী, দুপুর ১২টা ১৮-য় বন্দে ভারতের পরে বিকেল ৫টা ৩৭-তে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস আসানসোল থেকে ছাড়ে। কিন্তু সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আসানসোল থেকে সরাসরি হাওড়া যাওয়ার কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন নেই। জনশতাব্দী ছাড়া কার্যত দূরপাল্লার কোনও ট্রেনই চিত্তরঞ্জনে থামে না। পাশাপাশি, বন্দে ভারতের ভাড়া সর্বস্তরের মানুষের পক্ষে অনেকটাই বেশি বলে দাবি।
মাসখানেক আগে, সকাল সাড়ে ৯টা-১০টার মধ্যে আসানসোল-হাওড়া রুটে সরাসরি একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়ার জন্য আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম-এর কাছে আর্জি জানান বলে জানান ওই সংগঠনটির সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান। তাঁর সংযোজন: “ওই সময়ে সরাসরি নতুন একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা দরকার। ভাড়াও যাতে সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকে, সেটা দেখতে হবে। পাশাপাশি, রাতে আসানসোল থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত সুপারফাস্ট ট্রেনের জন্যও দাবি জানিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস দাস, অজয় বন্দ্যোপাধ্যায়েরা জানান, চিত্তরঞ্জন গুরুত্বপূর্ণ রেল শহর। লাগোয়া এলাকায় প্রচুর বেসরকারি কারখানা আছে। এলাকা থেকে প্রচুর যাত্রী কলকাতায় যান। সারা দিন হাওড়া যেতে সরাসরি চিত্তরঞ্জন থেকে কোনও ট্রেন নেই। কমপক্ষে সুপারফাস্ট লোকাল ট্রেন চালু হলেও তাঁরা উপকৃত হবেন। এই মর্মে তাঁরা গত মাসের ২৩ তারিখে রেল মন্ত্রকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বলে জানান অজয়েরা।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ অধিকর্তা কৌশিক মিত্র জানান, নতুন ট্রেন সরাসরি কোনও স্টেশন থেকে চালু করতে গেলে সেখানে ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জায়গা থাকা দরকার। যখন ছাড়া হবে, সেই সময়ে অন্য কোনও ট্রেন আছে কি না, তা-ও দেখতে হয়। আসানসোলে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে। তাই আসানসোল থেকে সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা সম্ভব। সেই সুযোগ চিত্তরঞ্জনে নেই। নতুন ট্রেন চালু করার আবেদন বিবেচনা করা হবে।