জল জমে গিয়েছে আনাজ খেতে। কালনার নান্দাই গ্ৰামে। নিজস্ব চিত্র।
দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে চাষের বহু জমি। আনাজ চাষে ফের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে জেলার নানা জায়গায়। চাষিরা জানান, সম্প্রতি দুর্যোগে আনাজ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে জোগান কমেছিল। ক্রমে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই ফের ভারী বৃষ্টি। আনাজের ফলন তলানিতে নেমবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। বার বার দুর্যোগে আনাজ নষ্ট হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বহু চাষির। ঋণের বোঝাও বাড়ছে অনেকের। সরকারের কাছে আনাজ চাষে বিমার সুবিধার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত। দুপুরের পর কালনা, পূর্বস্থলীর বহু চাষিকে জমিতে জমা জল বের করতে দেখা যায়। আনাজ চাষি জানান, প্রথমে তীব্র গরমে নষ্ট হয়েছে আনাজের চারা। অগস্টের শুরুতে ভারী বৃষ্টিতে জল জমে জমিতেই পচেছে বহু গাছ। সেই সময় জোগান কমে গিয়েছিল। এখন ফের বৃষ্টির জেরে পাইকারি বাজারে আনাজের জোগান কমেছে। বেগুন, ফুলকপি প্রায় মিলছেই না।
নান্দাইয়ের বাসিন্দা আনাজ চাষি বাপি শেখ বলেন, “জমিতে হাজার ছয়েক ফুলকপির চারা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে আছে। রোদ উঠলেই চারাগুলি পচে নষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে অন্য আনাজেরও।” পূর্বস্থলীর আনাজ চাষি সমীর মণ্ডলও বলেন, “পর পর দুর্যোগের ফলে জমিতে ফসল তৈরির আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগের বারের দুর্যোগে যেটুকু বেঁচে ছিল এ দিনের বৃষ্টিতে সেগুলিও মরে যাবে। আমরা দিশেহারা।”
জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, “আনাজের জমিতে জল জমে থাকলে চাষিদের উচিত তা দ্রুত বাইরে বার করে দেওয়া। রোদ উঠলে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে ছত্রাক নাশক। এর পর আর বৃষ্টি না হলে মাঝারি এবং উঁচু জমিতে ক্ষতির সম্ভবনা কম। তবে বৃষ্টির ভাল দিকও আছে, ক্রমশ নামতে থাকা জলস্তর অনেকটা বৃদ্ধি পাবে।”
তবে উদ্যান পালন বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, “আনাজের জোগান এমিতেই তলানিতে। এ দিনের ভারী বৃষ্টির পর জোগান আরও কমবে। ফলে বাজারে আনাজ আরও দুর্মূল্য হতে চলেছে।”