Kalbaisakhi Storm

আচমকা ঝড়ে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা

ভাতারের বাবলু শেখ, অনুপম সামন্ত, মন্তেশ্বরের আব্দুল গফুর শেখ, শ্রীবাস সাঁতরাদের দাবি, রবিবার ভোর সাড়ে ৩টে থেকে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে তীব্র ঝড় হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্তেশ্বর, ভাতার শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫২
Share:

বোরো ধানের খেত। নিজস্ব চিত্র।

রবিবার ভোরের আচমকা ঝড়ে বোরো ধানে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। চিন্তা রয়েছে আম ও আনাজ নিয়েও। যদিও কৃষি দফতরের দাবি, শিলাবৃষ্টি না হলে ক্ষতির সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।

Advertisement

ভাতারের বাবলু শেখ, অনুপম সামন্ত, মন্তেশ্বরের আব্দুল গফুর শেখ, শ্রীবাস সাঁতরাদের দাবি, রবিবার ভোর সাড়ে ৩টে থেকে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে তীব্র ঝড় হয়। বাড়ির উঠোনে, ছাদে থাকা জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তাঁদের আশঙ্কা, এই সময় বোরো মরসুমে চাষ করা মিনিকিট ধানের ফলনের সময়। আচমকা ঝড়ে সেই গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলনেও প্রভাব পড়বে। ভাতার ও মন্তেশ্বর ব্লক কৃষি দফতর জানিয়েছে, বোরো মরসুমের মিনিকিট অন্য ধানের তুলনায় কম সময়ে ঘরে তোলা যায়। বাজার দরও যথেষ্ট ভাল। তাই চাষিরা এই চাষে ঝুঁকছেন। তবে আচমকা এই ঝড়ে ফসল কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চাষিরা।

মন্তেশ্বর ব্লক কৃষি আধিকারিক হর্ষিত মজুমদার বলেন, ‘‘এখন ১০-১৫ শতাংশ ধানে ফুল এসেছে। বাকি ধান নুইয়ে পড়লে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে খানিকটা।’’ বেশ কিছু কীটনাশকের কথাও দফতর থেকে চাষিদের জানানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পরামর্শ, বড় আশঙ্কার কিছু নেই। কারণ ঝড়ের পরে শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি। লক্ষ্য রাখতে হবে, ঝড়ের ফলে কোনও গাছ মাটির দিকে নুইয়ে পড়েছে কি না। সেই জমিতে পরিচর্যা দিকে নজর বেশি রাখতে হবে।

Advertisement

মিলল দেহ

মন্তেশ্বর: বাড়ি থেকে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার শাহজাদপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃত সুকুমার মাঝি (৫৫) মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। এ দিন বর্ধমান ২ ব্লকের বড়শুল অঞ্চলের কালীনগরের একটি ইটভাটায় পে-লোডার চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর ঘর থেকে। মৃতের নাম ভাগবৎ ভুঁইয়া (২৮)। বাড়ি বাঁকুড়ার রাইপুরের পিরহা গ্রামে। তাঁকে বড়শুল ব্লক প্রা়থমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

প্রৌঢ়ের অপমৃত্যু

গলসি: বিষ খাওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সানু সাঁতরা (৫৫) নামে প্রৌঢ়ের মৃত্য হল শনিবার। তিনি গলসির দেবীবরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি বিষ খেয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement