Farmers in trouble

সঙ্কীর্ণ খামার যাওয়ার পথ, সমস্যায় কৃষকেরা

কাঁকসার বৃন্দাবনপুর গ্রামের পাশেই রয়েছে ব্লক বীজ খামার। এই খামার থেকে নানা শস্যের বীজ সরবরাহ করা হয় জেলার নানা এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ০৮:২৬
Share:

কাঁকসা ব্লক বীজ খামার যাওয়ার পথ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র biplob.bhattacharjee974@gmail.com

বায়ুসেনা ছাউনির সীমানার পাশ দিয়েই গিয়েছে কাঁকসা ব্লক বীজ খামারের রাস্তা। কয়েক মাস আগে বায়ুসেনা তাদের জমিতে সীমানা পাঁচিল দিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এর ফলে সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছে বীজ খামারের রাস্তা। এই অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে খামারে আসা মানুষজনকে। পাশাপাশি, বীজ বা রাসায়নিক বোঝাই ট্রাক বা ট্রাক্টর দূরে রেখে, সেখান থেকে মালপত্র জমিতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে ব্লক বীজ খামার সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কাঁকসার বৃন্দাবনপুর গ্রামের পাশেই রয়েছে ব্লক বীজ খামার। এই খামার থেকে নানা শস্যের বীজ সরবরাহ করা হয় জেলার নানা এলাকায়। খামার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর আমন ধানের মরসুমে জেলার নানা প্রান্তে প্রায় ২০ টন বীজ সরবরাহ করা হয় এই কেন্দ্র থেকে। সরাসরি ট্রাক বা ট্রাক্টরে করে সেই বীজ পাঠানো হয়। খামার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃন্দাবনপুর গ্রামের মূল রাস্তা থেকে প্রায় দু’শো মিটার মাটির রাস্তা দিয়ে এই খামারে যেতে হয়। বায়ুসেনা ছাউনির সীমানার পাশ দিয়ে যাওয়া এই রাস্তা মাস ছ’য়েক আগে বায়ুসেনা নিজেদের জায়গা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। ফলে, রাস্তা চওড়ায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় বীজ খামার থেকে পাঠাতে হলে মূল রাস্তা পর্যন্ত শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে তুলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। আবার যে সব কৃষকেরা বেশি পরিমাণ বীজ নিচ্ছেন, তাঁদেরকে মাথায় করে তা নিয়ে যেতে হচ্ছে।

তবে শুধু বীজই নয়। খামারের বিভিন্ন চাষের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক আনতেও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। খামার কর্তৃপক্ষ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। কাঁকসার এক চাষি বিভাস ঘোড়ুই বলেন, “রাস্তার এই অবস্থার জন্য যান নিয়ে আসতে পারি না। মোটরবাইকে করে বার বার বীজ নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ, দুই-ই খরচ হচ্ছে। সমস্যার কথা জানিয়েছেন ব্লক বীজ খামারের সহকারী ফার্ম ম্যানেজার কল্যাণ নায়েকও। তিনি বলেন, “সামনেই বর্ষা। দ্রুত রাস্তার ব্যবস্থা না হলে, কী ভাবে এখানে আসব, তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হয়েছে।”

Advertisement

দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফে সমস্যাটি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement