কুঠিরডাঙায় এই ইকো পার্ক নিয়েই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র
দামোদরের পাড় ভাঙনে অস্তিত্ব বিপন্ন শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কুঠিরডাঙায় থাকা ইকো পার্কটির। এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ডাল ব্লক প্রশাসন ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে পার্কটি তৈরি করে। প্রায় দু’একর জায়গার তিন দিকে তারকাঁটা দিয়ে পার্কটি ঘেরা হয়। পার্কে নানা ধরনের ফুল এবং আম গাছ লাগানো হয়েছিল। পার্ক তৈরির আগে থেকেই ওই এলাকায় রয়েছে শিরিষ, বট, অশ্বত্থ-সহ নানা গাছ। ওই সব গাছের চার দিক গোল করে বাঁধানো হয়েছিল। দোলনা, স্লিপার প্রভৃতি বসানোর পরিকল্পনাও হয়। কিন্তু, ২০১৭ থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রতি বছর বর্ষায় দামোদরের পাড় ভেঙে জল ঢুকেছে পার্কে। এর ফলে, পার্কের অস্তিত্বই সঙ্কটে পড়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কো-মেন্টর কাঞ্চন মিত্র জানান, এলাকায় ইকো পার্ক তৈরির পরে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জলের তোড়ে ঘেরা দেওয়া তারকাঁটা ও বসার জন্য থাকা বাঁধানো জায়গাগুলিও উধাও হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে পার্কের সঙ্গে কুঠিরডাঙা এবং শ্রীরামপুর গ্রামও নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। প্রায় প্রতি বছর বর্ষায় এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় চাষেও প্রচুর ক্ষতি হয়। জেলা পরিষদের তরফে পার্ক লাগোয়া দামোদর নদের প্রায় দু’কিলোমিটার ভেঙে যাওয়া পাড় বাঁধানোর জন্য অন্ডাল ব্লক প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেচ দফতর এলাকাটি বেশ কয়েক বার পরিদর্শন করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি বলেই অভিজ্ঞতা এলাকাবাসীর। শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর ঘোষ জানান, পঞ্চায়েত পর পর তিন বছর একশো দিনের কাজের মাধ্যমে নদের পাড় মাটি দিয়ে ভরাট করেছে। কিন্তু তাতে কিছুটা সমস্যা মিটলেও মূল সমস্যা রয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিডিও (অন্ডাল) সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, “পার্কটির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” পশ্চিম বর্ধমান জেলা সেচ দফতরের এক আধিকারিক জনান, শ্রীরামপুরে নদের পাড় বাঁধানো নিয়ে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।