কোথাও গাড়ি উল্টে দেওয়া, কোথাও বা আবার দোকানের দরজা ভেঙে জিনিসপত্র নষ্ট করা। — পাঁচ দিন ধরে এমন ভাবেই এক হাতির উৎপাত সহ্য করতে হচ্ছে বলে জানালেন জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর, কুনুস্তড়িয়া, ধসল, পুরতান জামশোল ও তপসী এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন আগে একটি হাতি বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে কুনুস্তড়িয়ার জঙ্গলে ঢোকে। বাসিন্দাদের দাবি এই ক’দিনে ধসল এলাকার কয়েক বিঘে জমিতে গম নষ্ট করে হাতিটি। সোমবার ভোরে বাহাদুরপুর মোড়ের দু’টি দোকানেও তাণ্ডব চালায় হাতিটি। কাজল নাগ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘এলাকায় এসে দেখি দোকানের দরজা ভাঙা। ভেতরের আলু, সব্জি সব নষ্ট করেছে হাতিটি।’’ পরে অবশ্য কুনুস্তড়িয়ার জঙ্গলে চলে যায় হাতিটি।
সোমবার রাতে ফের জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে হাতিটিকে দেখা যায় বলে জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ আচমকা হাতিটি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর হাঁটতে শুরু করে। বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা বুগল রায় জানান, ওই রাতে তিনি চার চাকার গাড়িতে করে রানিগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আমরাসোতা সেতুর কাছে পৌঁছতেই আচমকা সামনে চলে আসে হাতিটি। বুগলবাবু গাড়ি ছেড়ে চম্পট দেন। খানিক বাদেই হাতিটি শুঁড়ে দিয়ে গাড়িটিকে ধাক্কা মেরে পাশের একটি গর্তে ফেলে দেয়। পরে বাসিন্দারা মিলে হাতিটিকে কুনুস্তড়িয়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠান।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ক’দিনে একবারও দেখা মেলেনি বন দফতরের কর্মীদের। পুলিশ-প্রশাসনে জানিয়েও লাভ হয়নি। মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দ্রুত হাতিটিকে এলাকাছাড়া করার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।’’