ছেলের বিরুদ্ধে জোর করে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়া, মারধর করার অভিযোগে মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা পার্বতী মাঝি। সোমবার কাটোয়ার মহকুমাশাসক পার্বতীদেবীর দুই ছেলেকে মাকে নিয়মিত খোরপোষ ও বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেন।
পানুহাট দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা পার্বতীদেবীর অভিযোগ ছিল, মাসছয়েক ধরেই সম্পত্তি লিখে দেওয়ার দাবি করে তাঁকে মারধর করত ছোট ছেলে সুকুমার মাঝি। পাড়ায় পরিচারিকার কাজ করে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন তিনি। তাঁর দাবি, গত ২৫শে জুলাই বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য সাদা কাগজে সই করে দিতে বলে সুকুমার। তিনি রাজি না হলে ছেলে মারধর শুরু করে। একজোড়া সোনার দুল ও হাজার দুয়েক টাকাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে দাবি বৃদ্ধার। এরপরে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলেও পার্বতীদেবীর অভিযোগ। এমনকী, মাকে বাঁচাতে বড় ছেলে রতন ও নাতনি তৃষ্ণা বাগ ছুটে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এরপরেই মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধা। যদিও সুকুমারের দাবি, ‘‘মাকে মারধর করিনি। উনি নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।’’
সোমবার মহকুমাশাসক বৃদ্ধার দুই ছেলেকে মাসে ১৫০০ টাকা করে খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে নিরাপদে বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতেও বলা হয়েছে। এ দিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে পার্বতীদেবী বলেন, ‘‘মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু তো ফিরে পেলাম।’’