জোড়া খুনে কান্নার রোল পরিবারে। —নিজস্ব চিত্র।
সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মা এবং ভাইকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা আসানসোলের হীরাপুর এলাকার। জোড়া খুনের পর হীরাপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ওই ব্যক্তি। পুলিশ তাকে জেরা করছে।
হীরাপুর থানার ইসমাইল আজাদ নগর এলাকায় সপরিবারে থাকতেন নিহত আফতাব আলম এবং তাঁর মা আখতারি খাতুন। সঙ্গে থাকতেন আফতাবের স্ত্রী এবং তাঁর এক বোনও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ওই কাণ্ড ঘটে। আফতাবের মেজ দাদা মহম্মদ আলম আসানসোলের রেলপাড় এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাইকে চড়ে সে হানা দেয় সেজ ভাইয়ের বাড়িতে। তার সঙ্গে ছিল একটি ফলমূল ভর্তি ব্যাগ। তার মধ্যেই আলম ধারালো অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ভাইয়ের বাড়িতে ঢুকেই আফতাবের স্ত্রী এবং নিজের বোনকে বেঁধে রাখে আলম। সেই সময় বাড়িতে তার মা এবং সেজ ভাই ছিলেন না। তাঁদের ফোন করে ডাকে আলম। প্রথমে আখতারি বাড়িতে পৌঁছলে তাঁর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় সে। আখতারিকে খুন করে বাড়ির ভিতরে একটি চৌবাচ্চায় ফেলে দেয় আলম। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দাদার ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়িতে এসে পৌঁছন আফতাবও। তাঁকেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করে আলম। এর পর সে চিৎকার করতে করতে বাইক চালিয়ে হীরাপুর থানার উদ্দেশে রওনা দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘আলম নামে এক যুবক থানায় গিয়ে জানায় যে সে তার ভাই এবং মা-কে খুন করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। কী কারণে খুন তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’ প্রতিবেশীদের মতে, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদেরজেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে আলম এবং নিহত আফতাবের বড় দাদা সারওয়ার আলম বলছেন, ‘‘আমরা ভাইয়েরা সম্পত্তি ভাগ করে নিয়েছি আগেই। তার পরেও আলম এটা কেন করল বুঝতে পারছি না। ওর কড়া শাস্তি হোক।’’