Coronavirus

টিকা মজুত, প্রস্তুতি সারা: দাবি জেলার

বুধবার জেলা প্রশাসন এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে টিকাকরণে জোর দেওয়া, করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। বুধবার বৈঠকে জেলাগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে রাজ্য। পূর্ব বর্ধমানে প্রস্তুতি অনেকটাই সারা, দাবি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড টিকাও মজুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বুধবার জেলা প্রশাসন এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে টিকাকরণে জোর দেওয়া, করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়। রাজ্যের ভাঁড়ারে টিকার জোগান পর্যাপ্ত নয় বলে জানানো হয়। একদিকে টিকায় টান অন্যদিকে সংক্রমণ না থাকায় টিকা নিতে অনীহা, সব মিলিয়ে জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে টিকাকরণ প্রায় বন্ধ বললেই চলে। বর্ধমান মেডিক্যালের দাবি, কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ়ের সরবরাহ নেই। তবে কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ় রয়েছে। যদিও গত কয়েক মাসে তা নেওয়ার আগ্রহ ছিল তলানিতে। মেডিক্যালের সুপার কৌস্তভ নায়েক বলেন, ‘‘ফের করোনা মাথাচাড়া দেওয়ায় বুস্টার ডোজ় নিতে আগ্রহ কিছুটা হলেও বেড়েছে।’’ তাঁর দাবি, কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ় যতটা রয়েছে তাতে আগামী কয়েকদিন টিকাকরণ চালান যাবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘২২-২৩ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন জেলায়। রাজ্য থেকে টিকা চেয়ে চিঠি করা হয়েছে। টিকা এলে যারা বুস্টার ডোজ় নেননি, তাঁদের টিকা নিতে বলা হবে।’’

বর্ধমান হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ড করা হয়েছে। চারটি ব্লককে সারি এবং বাকি চারটি ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ড গড়ে চিকিৎসা করা হবে। নতুন ভবনেও হবে কোভিড পরীক্ষা। কোভিড চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামোগত মক ড্রিল করা হয়েছে মঙ্গলবার। মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ জানান, কোভিড টেস্টের জন্য র্যা পিড অ্যান্টিজেন, আরটিপিসিআর টেস্ট কিট, মাস্ক, গ্লাভস, ওষুধ মজুত রয়েছে। যদিও করোনা পরীক্ষার হার বর্তমানে একেবারেই কম। বাকি পরিকাঠামো নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

Advertisement

কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীর দেখা মিললে শুরুতে বর্ধমানে পাঠানো হবে। তবে তাঁরাও ৩০ শয্যার পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছেন। স্বাস্থ্যভবন থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেলে জেলার দ্বিতীয় হাসপাতাল হিসাবে এটি খুলে দেওয়া হবে। আগে যেখানে সংক্রামক ওয়ার্ড ছিল সেখানেই তৈরি করা হয়েছে পরিকাঠামো। বুধবার স্বাস্থ্যভবনের একটি প্রতিনিধি দল পরিকাঠামোটি ঘুরে দেখে যান। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যভবনের প্রতিনিধি দল ছোট ছোট কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। ভেন্টিলেটর দেওয়া চারটি শয্যা রাখতে বলা হয়েছে। আমরা দ্রুত তা করেও ফেলছি।’’ তিনি জানান, করোনা হাসপাতাল চালু হলে চিকিৎসক, নার্স, গ্রুপ ডি কর্মী কারা থাকবেন, সেই তালিকা করা হয়েছে। জ্বরের উপসর্গ পেলে রোগীদের করোনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত রোগী মেলেনি।

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। চার শয্যার আইসিইউ সেন্টারও খোলা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার শেখ সৌভিক আলম বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে আগেভাগেই করোনা মোকাবিলার জন্য যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা সেরে রেখেছি। বুস্টার ডোজ় দেওয়াও জোর দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement