অশান্তি ডিওয়াইএফের সঙ্গে

অন্ডালে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল

সম্মেলনের জন্য দেওয়াল লিখতে গেলে ডিওয়াইএফের চার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অন্ডালের কাজোড়া-লছিপুর এলাকায় এই ঘটনায় অবশ্য তৃণমূলের তরফেও ডিওয়াইএফের বিরুদ্ধে পাল্টা একটি হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। ডিওয়াইএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ এপ্রিল, ২৭ জুলাই ও ২ মে লোকাল, জোনাল ও জেলা কমিটির সম্মেলন হওয়ার কথা। সে জন্য এ দিন সকালে বেশ কয়েক জন ডিওয়াইএফ কর্মী দেওয়াল লিখছিলেন। অভিযোগ, আচমকা রামবিলাস চৌহান, ভজন পাসোয়ানের নেতৃত্বে ২২ জন তৃণমূল কর্মী দেওয়াল লিখতে বাধা দেয়। লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩৭
Share:

তখন বেধেছে গোলমাল। কাজোড়া-লছিপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার ওমপ্রকাশ সিংহের তোলা ছবি।

সম্মেলনের জন্য দেওয়াল লিখতে গেলে ডিওয়াইএফের চার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অন্ডালের কাজোড়া-লছিপুর এলাকায় এই ঘটনায় অবশ্য তৃণমূলের তরফেও ডিওয়াইএফের বিরুদ্ধে পাল্টা একটি হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

ডিওয়াইএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ এপ্রিল, ২৭ জুলাই ও ২ মে লোকাল, জোনাল ও জেলা কমিটির সম্মেলন হওয়ার কথা। সে জন্য এ দিন সকালে বেশ কয়েক জন ডিওয়াইএফ কর্মী দেওয়াল লিখছিলেন। অভিযোগ, আচমকা রামবিলাস চৌহান, ভজন পাসোয়ানের নেতৃত্বে ২২ জন তৃণমূল কর্মী দেওয়াল লিখতে বাধা দেয়। লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়।

ডিওয়াইএফের দাবি, এই হামলায় তাদের দামোদর–অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক পরেশ মণ্ডল-সহ ৪ কর্মী আহত হন। পরেশবাবুর ডান কাঁধের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরও দুই কর্মী সুনীল রুইদাস, আশিস রুইদাসের মাথায় আঘাত লাগে। তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আর এক কর্মী প্রদীপ মণ্ডলেরও মাথায় চোট লেগেছে বলে অভিযোগ। পরেশবাবুর অভিযোগ, “পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছে।’’ স্থানীয় একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, রামবিলাসবাবুরা বাধা দেওয়ায় ডিওয়াইএফ কর্মীরা প্রথমে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে বেশ কয়েক জন ডিওয়াইএফ কর্মী-সমর্থক এলাকায় এলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সন্ধ্যায় ডিওয়াইএফ-এর তরফে অন্ডাল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। তৃণমূল কর্মী বিকাশ পাসোয়ান পুলিশের কাছে ডিওয়াইএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার পাল্টা অভিযোগ করেন।

Advertisement

পরেশবাবু অভিযোগ করেন, রামবিলাসবাবু তৃণমূলের আশ্রয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কয়লার কারবার চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অন্ডাল থানায় বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে বলে পরেশবাবুর দাবি। তৃণমূলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন মিত্র যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘দু’দলের মধ্যে হালকা বচসা হয়েছে।’’ রামবিলাসবাবুর কয়লার কারবারে যুক্ত থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন কাঞ্চনবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় নানা অভিযোগ থাকার কথা স্বীকার করেও রামবিলাসবাবুর দাবি, ‘‘আমি মদনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। কয়লার কারবারে কোনও দিনই যুক্ত ছিলাম না।’’ তাঁর আরও দাবি, ডিওয়াইএফ কর্মীরা সরকারি দেওয়ালে দলীয় কর্মসূচির কথা লিখছিল। ওই দেওয়ালটিতে মাস দু’য়েক আগে তৃণমূল দেওয়াল লিখতে গেলে ডিওয়াইএফের তরফে অন্ডাল থানায় অভিযোগ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। রামবিলাসবাবু বলেন, ‘‘এ দিন ডিওয়াইএফ ওই দেওয়ালটিই ব্যবহার করতে চাইলে আমাদের কর্মীরা বাধা দেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement