জল ছাড়া হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। শনিবার। ছবি: বিকাশ মশান
ঝাড়খণ্ডে গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পরে বরাকর ও দামোদরে জলস্তর বেড়েছে। সে জন্য বন্যা নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে ডিভিসি। শনিবার সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে শুক্রবার জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত নতুন করে তা বাড়েনি। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৬২,৬০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে বলে এ দিন সন্ধ্যায় সেচ দফতর সূত্রে
জানা গিয়েছে।
ডিভিসি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে যথাক্রমে ৬ হাজার ও ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকে বেশি মাত্রায় জল ছাড়ার ফলে শুক্রবার দিনভর পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার হার দ্বিগুণ করা হয়। যদিও তিলাইয়া ও কোনার জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকায়, মাইথন থেকে স্বাভাবিক জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানান, এই পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে শনিবার দুপুরের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারাজ ও সদরঘাট জলাধারে জলের পরিমাণ বেড়েছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণের আনুপাতিক হার বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ ঘণ্টায় ঝাড়খণ্ড প্রান্তে পশ্চিম বরাকর নদের ১০টি অঞ্চলে প্রায় ১৯ মিলিমিটার, পূর্ব বরাকর নদের ১৬টি অঞ্চলে প্রায় ২৫ মিলিমিটার, পশ্চিম দামোদর নদের ১৬টি অঞ্চলে সাড়ে ৫ মিলিমিটার ও পূর্ব দামোদর নদের ২৫টি অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড থেকে মাইথনে প্রায় ২৭ হাজার একর ফুট ও পাঞ্চেতে প্রায় ৫৭ হাজার একর ফুট জল ঢুকেছে। এই মুহূর্তে মাইথনের জলস্তর ৪৭৩.২৬ ফুটের মধ্যে রয়েছে। এই জলাধারের বিপদসীমা ৪৯৫ ফুট। পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর ৪১৩.৪৯ ফুটের মধ্যে রয়েছে। এখানকার বিপদসীমা ৪৩৫ ফুট।
মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে ও আসানসোলে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত হলে গাড়ুই নদীর জলস্তরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে। প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ
করা হবে।