DVC Water Release

বৃষ্টি কমেছে ঝাড়খণ্ডে, জল ছাড়াও কমিয়ে দিল ডিভিসি, সোম সকালে কতটা জল ছাড়া হল দুর্গাপুর থেকে?

ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করায় বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে ছাড়া জলের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার কথা বলেছিলেন হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১০:১৮
Share:

পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। — নিজস্ব চিত্র।

ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। এ বার জল ছাড়ার পরিমাণও কমিয়ে দিল ডিভিসি। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা জলের চাপ কমাতেই মূলত পাঞ্চেত জলাধার থেকে বাড়তি জল ছাড়া হচ্ছিল গত দু’দিন ধরে। সোমবার সেই জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হলে বাড়তি জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার সকালে মাইথন জলাধার থেকে ছ’হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই পরিমাণ স্বাভাবিক। প্রতি দিনই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য মাইথন থেকে এই পরিমাণ জল ছাড়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ, নতুন করে বাড়তি জল ছাড়েনি মাইথন। পাঞ্চেত জলাধার থেকে বাড়তি কিছুটা জল ছাড়া হয়েছে সোমবার। সেই পরিমাণ ৪৩ হাজার কিউসেক। অর্থাৎ, দুই জলাধার থেকে মোট ৪৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। এই জল জমা হয় দুর্গাপুর ব্যারাজে।

ডিভিসি সূত্রে খবর, সোমবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা রবিবারের চেয়ে বেশ কিছুটা কম।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকে রবিবার বাড়তি জল ছাড়া হয়েছিল। সেই জলের কারণেই পাঞ্চেত জলাধারের উপর চাপ পড়ে। পাঞ্চেত থেকে রবিবার অনেক বেশি জল ছাড়তে হয়েছিল। দুর্গাপুর ব্যারাজেও তার প্রভাব পড়ে। তবে ঝাড়খণ্ডে এখন বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। তাই সোমবার তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও কম।

উল্লেখ্য, ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করায় বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। নবান্নও এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। অভিযোগ ছিল, বাংলার সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা ভাবেই জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ডিভিসি। যা বাংলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। এর পর রবিবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে তাঁকে অনুরোধও করেন মমতা। পাশাপাশি বৃষ্টিও আগের চেয়ে কমেছে। সোমবারই তাই জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা কমে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement