Durgapur Administration

রাস্তার হাল দেখলেন কর্তা

ঘটনাচক্রে, দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে বাম-কংগ্রেস যৌথ আন্দোলন করে কিছু দিন আগে। কংগ্রেসের তরফে এক বার আলাদা করেও কর্মসূচি নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৫
Share:

পরিদর্শনে আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

‘ভার্চুয়াল’ প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শারদোৎসবের আগে সমস্ত রাস্তাঘাট ঝকঝকে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দুর্গাপুরের বিভিন্ন রাস্তার সংস্কারের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি দুর্গাপুরের বেহাল রাস্তাগুলি পরিদর্শন করেন। পুজোর আগেই রাস্তাগুলি সারাইয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ দিন জেলাশাসক মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলেকে সঙ্গে নিয়ে ডিএসপি টাউনশিপের এসএন ব্যানার্জি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড পরিদর্শন করেন। ঘুরে দেখেন এমএএমসি টাউনশিপের বেহাল রাস্তাও। রাস্তার হাল নিয়ে জেলাশাসক দুর্গাপুর পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

ঘটনাচক্রে, দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে বাম-কংগ্রেস যৌথ আন্দোলন করে কিছু দিন আগে। কংগ্রেসের তরফে এক বার আলাদা করেও কর্মসূচি নেওয়া হয়। সম্প্রতি সিপিএমের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিক ভাবে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেহাল রাস্তার খণ্ড-চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। বেঙ্গল অম্বুজা টাউনশিপের বাসিন্দারা বারবার স্মারকলিপি দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর শহরের বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে রাজনৈতিক দল, কম-বেশি সরব হয়েছেন সবাই।

Advertisement

এ দিন জেলাশাসক অবশ্য জানান, শহরের বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে আগেই। সেগুলি অনুমোদন হয়ে এলেই কাজ শুরু হবে। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘দ্রুত যাতে রাস্তার কাজ শুরু হয়, সে জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী তদ্বির করা হবে।’’ পাশাপাশি, জেলাশাসক পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা বস্তি আদিবাসী হিন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জয় বাংলা পেনশন শিবির’-এও যান। মানুষজনের সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে কথাবার্তা বলেন। কথা বলেন, ওই প্রকল্পের আবেদনকারীদের সঙ্গে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি ও উপজাতির অন্তর্ভুক্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সের কোনও মানুষ যাতে পেনশেনের আওতার বাইরে না থাকেন, তা নিশ্চিত করতেই এমন শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement