দু’সপ্তাহ দেখা নেই ডাক্তারের

শুক্রবার মাতৃসদনে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন অন্তঃসত্তা আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে এসেছেন। কিন্তু চিকিৎসকের ঘর ফাঁকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

দুর্গাপুরের পারুলিয়া মাতৃসদন। নিজস্ব চিত্র

পরিকাঠামো রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীও আছেন। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। এমনই অভিযোগ উঠছে দুর্গাপুর পুরসভার পারুলিয়ার মাতৃসদনে। গত দু’সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকের দেখা মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

এলাকা থেকে মহকুমা হাসপাতাল বেশ কিছুটা দূরে। তাই ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ির কাছে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারুলিয়ায় মাতৃসদন গড়ে তোলে পুরসভা। শুধু বহির্বিভাগ নয়, ‘ইন্ডোর’ চিকিৎসার পরিকাঠামোও গড়া হয়েছিল। রোগী ভর্তি রাখার জন্য শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে শুধুমাত্র বহির্বিভাগ পরিষেবাই চালু ছিল এখানে। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ ধরে তা-ও বন্ধ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, অন্তঃসত্তারা স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। যাতায়াতের ধকল ছাড়াও সময় নষ্ট হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ইন্ডোর পরিষেবা চালু না হওয়ায় গর্ভবতীদের সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে সমস্যা দেখা দিলে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না।

শুক্রবার মাতৃসদনে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন অন্তঃসত্তা আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে এসেছেন। কিন্তু চিকিৎসকের ঘর ফাঁকা। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান তাঁরা। প্রায় সুনসান হয়ে যায় মাতৃসদন। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন। মাতৃসদন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন চিকিৎসক এখানে বহির্বিভাগে রোগী দেখতে আসতেন। তাঁর মধ্যে যিনি স্থায়ী চিকিৎসক ছিলেন, তাঁকে সম্প্রতি বদলি করে দেওয়া হয়েছে পুরসভার অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অস্থায়ী চিকিৎসক দু’সপ্তাহ ধরে আসছেন না। ফলে, চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে যে পরিষেবা দেওয়ার কথা সেগুলিই চালু আছে। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময়ে এক মহিলা বলেন, ‘‘ঘরের পাশে চিকিৎসার সুযোগ থাকলেও শুধু ডাক্তারের অভাবে আমরা তা পাচ্ছি না। কষ্ট করে এসেও আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।’’

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতৃসদন-সহ পুরসভার নানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য চিকিৎসক চেয়ে একাধিক বার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। তাই চিকিৎসকের অভাব পূরণ হয়নি। মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, ‘‘কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা খোঁজ নিচ্ছি। দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement