বাজি, মিষ্টিমুখে উৎসব দুর্গাপুরে

একদিকে শাসক দলের উচ্ছ্বাস। অন্য দিকে বিরোধীদের হা-হুতাশ। জেলা ভাগের আগের দিন এমন ছবি দুর্গাপুরের।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৯
Share:

আলোর মালা শহরে। নিজস্ব চিত্র

একদিকে শাসক দলের উচ্ছ্বাস। অন্য দিকে বিরোধীদের হা-হুতাশ। জেলা ভাগের আগের দিন এমন ছবি দুর্গাপুরের।

Advertisement

পশ্চিম বর্ধমানের প্রবেশদ্বার হতে চলেছে পানাগড়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পথচলতি মানুষদের মিষ্টিমুখ করান দলের কর্মীরা। সঙ্গে আবির খেলা, ঢাক বাজানো। দুর্গাপুর শহরেও চোখে পড়ে শাসকদলের কর্মীদের উচ্ছ্বাস। তৃণমূলের আইনজীবী সেলের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর আদালত চত্বরে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতসবাজির প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় আতসবাজি পোড়ানো হয় ডিএসপি টাউনশিপের ভারতী এলাকাতেও। সন্ধে নামতেই শহরের বিভিন্ন এলাকা আলোর মালায় সেজে ওঠে। তার আগে শহরের মোড়ে-মোড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে যায়।

দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের মানুষের দাবি পূরণ হয়েছে। মানুষ তাই স্বতস্ফূর্ত ভাবে আনন্দ প্রকাশ করছেন।’’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা দাবি খরেন, ‘‘দুর্গাপুর জেলা সদর হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি উপযুক্ত ছিল। আমাদের দলের নেতারা বিষয়টি নিয়ে তৎপর না হওয়ায় তা হয়নি। বিধানসভা ভোটে এলাকার দু’টি আসনে হারের ফলেই হয়তো বঞ্চিত হতে হল।’’

Advertisement

শাসকদলের উচ্ছ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটিও প্রয়োজনীয় উদ্যোগী হয়নি।’’ তাঁর অভিযোগ, প্রথম দিকে বিষয়টি আমলই দেয়নি বর্তমান পুরবোর্ড। বামেরা লাগাতার আন্দোলন করার পরে পুরসভা কমিটি গড়ে। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে দুর্গাপুর কেন জেলা সদর হিসেবে উপযুক্ত, তার সাতটি কারণ উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরে আর কিছু করা হয়নি। কমিটির বৈঠকও ডাকা হয়নি। জেলা সদর তো দূরের কথা, মহকুমার এলাকাই কমিয়ে দেওয়া হল!’’

কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুর্গাপুরে কীসের জন্য উল্লাস কে জানে! দুর্গাপুর তো কিছুই পেল না। মহকুমার আয়তনও কমে গেল। সাধারণ মানুষ ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে অন্ধকারে রেখেই জেলা ভাগের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement