তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং জাতি তুলে গালিগালাজে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখায় ‘পশ্চিম বর্ধমান আদিবাসী গাঁওতা’। দুর্গাপুর থানা সূত্রে জানা যায়, পদক্ষেপের জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়ে বিক্ষোভ তোলে গাঁওতা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্যতম অভিযুক্ত কমলপুরের অর্ণব নায়েককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দুর্গাপুরে ২২ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে। তার পরেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বৃহস্পতিবার থানার সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে গাঁওতা। গাওঁতা অভিযোগ করে, অভিযুক্তেরা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার আত্মীয়। তাই পুলিশ পদক্ষেপ করছে না। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করে। পুলিশও অভিযোগ না মেনে জানায়, মহিলার ছেলের পাল্টা একটি অভিযোগও জমা পড়েছে। দু’টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। শেষমেশ গাঁওতা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে এবং পদক্ষেপ করার জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। তার পরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।
শুক্রবার ধৃতকে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ জানায়, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। এ দিকে, শুক্রবার সকালে মহিলার ছেলে অভিযোগ করেন, এক অভিযুক্ত তাঁকে মারধর করেছেন। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ।
ধৃত এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এ দিন গ্রেফতারের পরে তৃণমূলের ১ নম্বর ব্লকের নেতা তথা কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী, পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। এ বিষয়ে দলের কিছু বলার নেই।’’ তবে ধৃতের মা দাবি করেছেন, সম্পত্তি-বিবাদের জেরে তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় নজরদারি চলছে।