মণ্ডপের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দিন পনেরো আগে পুজো আয়োজন সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশগুলি উদ্যোক্তাদের জানিয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ কতটা, কী মানা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে আসানসোলের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ পরির্দশন করলেন পুলিশ কমিশনারসুকেশকুমার জৈন।
পরিদর্শন শেষে কমিশনার বলেন, ‘‘পুজোর উদ্যোক্তার সরকারি নিয়মগুলি মেনে চলছেন দেখে আশ্বস্ত হয়েছি। তবে ধারাবাহিক ভাবে এই পরিদর্শন চলবে।’’ এ দিকে, এ দিনই জেলার ন’টি পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রে।
পাশাপাশি, এ দিন ফের কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মাস্ক’ ছাড়া, দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশ করানো যাবে না। কেউ ‘মাস্ক’ ছাড়া এলে পুলিশ অথবা উদ্যোক্তাদের তরফে তাঁকে মাস্ক দেওয়া হবে। কমিশনারেট ও জেলা প্রশাসন এ বার পুজোর চার দিন প্রায় চার লক্ষ মাস্ক বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে। এ দিকে, প্রশাসনের কর্তাদের পর্যবেক্ষণ, অনেকে ‘মাস্ক’ নিয়ে পথে বার হলেও, তা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন। এমন লোকজন সম্পর্কে পুলিশ কমিশনারের হুঁশিয়ারি, ‘‘অনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপকরবে পুলিশ।’’
এ দিনই সালানপুর থানা রূপনারায়ণপুরে এলাকার ৩৭টি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে উপস্থিত কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, ফুল ছাড়া পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা, পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, পুজোকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, দোকানপাট বসানো, ডিজে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিও (সালানপুর) তপন সরকার জানান, ব্লকের ৩৭টি পুজো কমিটিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মোট সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ-প্রশাসনের এমন নজরদারিতে খুশি আয়োজকেরাও। কল্যাণপুরের একটি পুজো কমিটির সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, ‘‘এমন পরিদর্শন ও নজরদারি চললে আখেরে সবাই লাভবান হবেন। উদ্যোক্তা ও দর্শনার্থী— সবাইকেই স্বাস্থ্য-বিধি মানতেই হবে।’’
বিকেলে দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেন ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত। পার্কিংয়ের কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হয়।