লকগেটের কাছে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
এক সময়ে শীত পড়তেই পিকনিকের জন্য ভিড় জমত রণডিহায়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তা অনেকটাই কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পিকনিকের জায়গা হিসাবে সৌন্দর্যায়নের কোনও ব্যবস্থা না হওয়ার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে বেশ কয়েক বার এই জায়গাকে সাজার কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা হয়নি। ফলে, রণডিহার দিকে আর আসতে চাইছেন না পর্যটকেরা, অভিযোগ তাঁদের। তবে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির আশ্বাস, এই কেন্দ্রকে সাজিয়ে তোলা হবে।
বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহায় দামোদরের ধারে বরাবরই বনভোজনের ভিড় হয়। লকগেটের কাছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ ভিড় জমান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময়ে বছরের সব সময়েই মানুষের আনাগোনা লেগে থাকত। মাছের টানেও আসতেন অনেকে। কিন্তু এখন তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দা অমিত মণ্ডল, মিলন মণ্ডলদের দাবি, তার কারণ এলাকার কোনও উন্নতি না হওয়া। অনেকেই সারা দিনের জন্য আসেন। কিন্তু বিনোদনের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি, শীত ছাড়া অন্য সময়ে খাবারের দোকানপাটও থাকে না। ফলে, পর্যটনের জায়গা হিসাবে রণডিহা আকর্ষণ হারাচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ওই বাসিন্দাদের আরও দাবি, বেশ কয়েক বার এই জায়গা সাজার উদ্যোগ হয়েছিল। বছর তিনেক আগে জেলা প্রশাসনের কর্তারাও পরিদর্শনে এসেছিলেন। এখানে ইকো পার্ক তৈরি পরিকল্পনা হয়। কিন্তু বাস্তবে কিছু হয়নি। গত বছর গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পার্ক তৈরি ছাড়াও দামোদরের পাড়ের বিস্তীর্ণ অংশ কংক্রিটে বাঁধানো হবে। মানুষজন যাতে দামোদরের পাড়ে বসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া থাকার জায়গা ও শৌচাগার তৈরির ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও, কয়েকটি বায়ো-টয়লেট ছাড়া কিছু হয়নি। এ বার পিকনিকে আসা তনিমা পাল, তুহিন মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, রণডিহার কিছু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু কিছুই নজরে এল না।’’
গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটন দফতর থেকে এখনও অর্থ না মেলায় কোনও কাজ করা যায়নি। আপাতত সমিতির তরফে বায়ো-টয়লেট বসানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা নিজস্ব তহবিল থেকে কিছু কাজে উদ্যোগী হয়েছে। পরে টাকা মিললে সাজিয়ে তোলা হবে রণডিহা।’’