পরীক্ষার্থীদের পিছু পিছু বন দফতরের গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক দিতে যাওয়ার পথে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার আউশগ্রামের বিভিন্ন জঙ্গলমহলের রাস্তায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাহারা দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন বনকর্মীরা। বন দফতরের দাবি, মাধ্যমিক চলাকালীন প্রতি দিনই পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে জঙ্গলের পথ পার করানো হবে।
আউশগ্রামের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে জঙ্গল। বনপথ ধরেই যাতায়াত করেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়ার দলছুট দামাল হাতি মাঝেমধ্যে দামোদর পেরিয়ে আউশগ্রামের ভাল্কী, মাচান, প্রতাপপুর, জামতাড়া, কুমারগঞ্জ, বাবুইশোল, আদুরিয়া, লক্ষ্মীগঞ্জের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। বছর খানেক আগে ৬২টি হাতির একটি দল সপ্তাহখানেক ধরে আউশগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। গুসকরা রেঞ্জের আউশগ্রাম বিটের বনকর্মীরা এ দিন আউশগ্রামের রামচন্দ্রপুর থেকে বননবগ্রাম হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় ন’কিলোমিটার পথ পরীক্ষার্থীদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যান। ভাল্কী বিটের বনকর্মীরা প্রতাপপুর থেকে জামতাড়া হাইস্কুল পর্যন্ত পৌঁছে দেন পরাক্ষার্থীদের। পানাগড় রেঞ্জের আউশগ্রামের আদুরিয়া বিটের বনকর্মীরা আবার গেঁড়াই ও এগারো মাইল থেকে থেকে রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যান। অনেক পরীক্ষার্থী সাইকেলে, মোটরবাইকেও পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। ওই পরীক্ষার্থীদের পিছু পিছুও যান বনকর্মীরা। এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ির ঘটনার পরে আমরাও উদ্বেগে ছিলাম। এ দিনই কসবা এলাকায় একটি হাতি চলে আসায় উদ্বেগ আরও বেড়েছিল। জঙ্গলে অনেক সময় হাতির অবস্থান বোঝা যায় না। বনকর্মীদের এই উদ্যোগে আমাদের উদ্বেগঅনেকটা কমেছে।’’