SFI

সম্মেলনের আগে এসএফআই জেলা সম্পাদক জেলেই

বর্ধমানের আইসি সুখময় চক্রবর্তী সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ ৫৭ জনের নামে মামলা রুজু করেন। ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জনা দুয়েক জামিন পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

আজ, শনিবার থেকে দু’দিনের জন্যে এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন শুরু হচ্ছে। কিন্তু বর্ধমান শহরে আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে পুলিশের উপরে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে জেল হেফাজতে রয়েছেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী। বেশ কয়েক বার জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায়, সংগঠনের জেলা সম্মেলনেই হাজির থাকতে পারবেন না গত দু’বারের জেলা সম্পাদক!

Advertisement

শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলার সময়ে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে অনির্বাণ বলেন, “জামিন পাই বা না পাই, সম্মেলন যেন ভাল ভাবে হয়।’’ এ দিন আদালতে হাজির এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমান বলেন, “যে জেলায় সম্মেলন হচ্ছে, সেই জেলার সম্পাদক জেলে, এমন ঘটনা বিরল। জরুরি অবস্থার সময়ে এ রকম ঘটেছিল। রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশ প্রতিবাদকে ভয় পাচ্ছে। তবে এ ভাবে মনোবল ভাঙা যাবে না।’’ সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা সংগঠনের জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ হাজরা অবশ্য বলেন, “অনির্বাণকে আটকে রাখার প্রতিবাদেই দ্বিগুণ উৎসাহে কাটোয়ার সম্মেলন হবে।’’ আজ, শনিবার বিকেলে সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা বিমান বসুর।

৩১ অগস্ট বিকেলে সিপিএমের আইন অমান্য আন্দোলন ঘিরে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বর কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পুলিশের দাবি, গোলমাল পাকাতে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ব্যাগে ইট-পাথর নিয়ে এসেছিলেন। ২২ জন পুলিশকর্মী জখম হন, পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমানের আইসি সুখময় চক্রবর্তী সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ ৫৭ জনের নামে মামলা রুজু করেন। ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জনা দুয়েক জামিন পান। তৃণমূল কাউন্সিলর নুরুল আলমও ১১৯ জনের নামে অভিযোগ করেন। দু’টি মামলাতেই ৩১ জনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ধৃতদের অন্যতম আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, ‘‘শুক্রবার পুলিশের মামলায় ৪৪ জন জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের দায়ের করা মামলায় ৩১ জনকে ১৩ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে। সে জন্য আদতে শুক্রবার ১৩ জন মুক্তি পেয়েছেন।’’

Advertisement

সিপিএমে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘গরু চোরকে ‘বীর’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। অথচ কৃতী প্রতিবাদী ছাত্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার ফল ভুগতে হচ্ছে।’’ টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি মহম্মদ সাদ্দাম থেকে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসদের পাল্টা দাবি, “সে দিন সিপিএম কী ভাবে বর্ধমান শহরে নৈরাজ্য তৈরি করেছিল, মানুষ দেখেছেন। কাজর্ন গেট চত্বর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।’’

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “রাস্তায় ফেলে পুলিশকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাইনির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিনের বিষয়টি আদালতের বিচার্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement