আসানসোল এখন শুধু বাইরে থেকেই সুন্দর নয়, অন্তর থেকেও সুরক্ষিত। নারী সুরক্ষার বিষয়ে এক দিকে যেমন ‘অভয়া হেল্পলাইন’ আসানসোলকে অভয় দান করেছে, অন্য দিকে তেমনই শহরের মোড়ে মোড়ে সুসজ্জিত ও সুরক্ষিত মহিলা প্রতীক্ষালয়, মহিলাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। শহরের দুর্গাবাহিনী (পুলিশের) পুজোর মরসুমে মধ্যরাতেও মহিলাদের সুরক্ষা দিচ্ছে। এটাই আমার শহর আসানসোল। যেখানে সুরক্ষিত মহিলারা।
আসানসোলের রাস্তাঘাট এখন বেশ উন্নত। মেন রোড ছাড়াও শহরতলির প্রত্যন্ত অলিগলির সিমেন্টের রাস্তাগুলিও বেশ ভাল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সড়কপথের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আসানসোল এখন বেশ উন্নত। রেল ও বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে আসানসোলে আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম ও এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে। আমি চাই আসানসোল এ ভাবেই এগিয়ে চলুক। যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠুক।
আসানসোল এখন ভিতর ও বাইরে থেকে পরিচ্ছন্ন। রাস্তায় নোংরা আবর্জনা পড়ে রয়েছে, এমন ছবি খুব একটা দেখা যায় না। শহরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও কোনও রকমের নোংরা চোখে পড়ে না। উপরন্তু বেশ পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চোখে পড়ে। আমি চাই, আমার শহর এ রকমই পরিচ্ছন্ন থাকুক।
জলের সমস্যা এখন আসানসোলে অনেকটাই মিটে গিয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল সংযোগ করার ফলে আসানসোলবাসীর পানীয় জলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করা গিয়েছে। যে সমস্ত জায়গায় সামান্যতম সমস্যা রয়েছে, সেগুলি দ্রুত সমাধান হবে। আমি চাই শহরবাসী যেন সঠিক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান।
আসানসোল এখন আলোর শহর। বাইপাস হোক বা ভিতরের কোনও অলিগলি, সব জায়গাই এখন আলোকিত। এর ফলে রাস্তাঘাট দেখতে ভারী সুন্দর লাগে। পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও অনেকটা কমেছে। আমি চাই, আমার প্রাণের শহর এ ভাবেই আলোকিত থাকুক। সকলকে সুরক্ষিত রাখুক।
করোনা অতিমারির প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউকে আসানসোলবাসী যে ভাবে পরাজিত করেছে এ বারের স্ফীতিকেও একই ভাবে পরাজিত করবে। এর আগে যে ভাবে আসানসোলবাসী করোনা মোকাবিলার নির্দেশিকা পালন করেছে, আগামী দিনেও তা পালন করুক। যে ভাবে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলে কোনও রকম সমস্যা ছাড়া অতি সহজে নিজের টিকা পেয়েছেন আগামী দিনেও ১৫ থেকে ১৮বছর বয়সি সকল ছাত্রছাত্রীর টিকাকরণ সম্পূর্ণ হোক। সব শেষে চাইব, শুধু শিল্পের নগরী নয়, আসানসোলের পরিচিতি হোক শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর হিসাবেও।